সম্পাদকীয়

বেড়েই চলেছে অপরাধমূলক কর্মকা-

এখন সারা দেশে নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে পরিস্থিতি চলছে, তা চলতে থাকলে দেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অন্য কোনো দেশের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। একতরফা নির্বাচন হয়ে গেলে দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বাড়বে। এ সংকট থেকে বেরোনোর জন্য বিদেশিরা সহযোগিতা করতে পারে। কিন্তু সমাধান দেশের ভেতর থেকেই করতে হবে। বর্তমানে নির্বাচনকে ঘিরে একদিকে অপরাধমূলক কর্মকা- বেড়েই চলেছে, অন্যদিকে রাজনৈতিক কারণে অপরাধ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এসব অপরাধমূলক ঘটনার পিছনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। নয়তো কেন খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না? এমতাবস্থায় সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে মানুষের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে খুনখারাবির লাগাম টেনে ধরতে না পারলে জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বোধ আরো তীব্র হবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দেবে। তাই আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরো তৎপর হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। ভীষণ জটিলতার মধ্যে আছে বাংলাদেশের রাজনীতি। দলীয়করণ যে রূপ লাভ করেছে, তাতে বর্তমান প্রশাসনব্যবস্থা, পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন সম্ভব হবে না। ফলে নির্বাচনের আগে সব অনাকাক্সিক্ষত বিষয় রোধে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করতে হবে। জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। নির্বাচন সামনে রেখে কেউ গুজব রটানোর অপচেষ্টা করলে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। আমরা আশা করব, কর্তৃপক্ষ সব দিক বিবেচনায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর আন্তরিক তৎপরতায় জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করবে। যুদ্ধবাজদের পরাজিত করে-পরাজিত রেখে, শান্তিময় নতুন পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। তবে এই সংঘাতময় পরিবেশ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো সংলাপ-সমঝোতা। তফসিল ঘোষণার পরও সেই সুযোগ রয়েছে। সিইসি যেহেতু সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার ব্যাপারে আশাবাদী, তাই আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন এ ধরনের উদ্যোগের সূত্রপাত করতে পারে। তবে সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টিসহ এ ক্ষেত্রে সরকারি দলের উদ্যোগ ও ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর বিরোধী দলকেও সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি জনগণের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে এই নির্বাচনব্যবস্থা গুরুত্বহীন হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button