সম্পাদকীয়

ভুমিকম্পের ঝুঁকিতে দেশ, আগাম প্রস্তুতি দরকার

নীরব হলেও পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প-প্রবণ বলয়ে বাংলাদেশ ও এর আশপাশ অঞ্চলের অবস্থান। মাঝেমধ্যে ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পগুলো বড়সড় বিপদের আগেই সজাগ হওয়ার জন্য ‘ওয়েকআপ কল’ অর্থাৎ ‘ইশারা’। এর ধারাবাহিকতায় প্রবল ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। এ অবস্থায় বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গবেষকদলের ‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ভূ-গঠন বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে তাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হলে তা বাংলাদেশ ও এর আশপাশ অঞ্চলের ১৪ কোটি মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। দু’টি গতিশীল ভূ-পাটাতন পরস্পরের উপর চেপে থাকায় প্রবল ভূমিকম্পের উপযোগী শক্তি ক্রমাগত জমা হচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের অঞ্চল সম্ভাব্য শক্তিশালী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হতে পারে। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বড় ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনবহুল রাজধানী ঢাকা। এখানে লক্ষাধিক বহুতল ভবন ধসে পড়তে পারে। পুরান ঢাকার উদাহরণ টেনেই বলা যায়, মারাত্মক ভূমিকম্প হলে এসব ঘিঞ্জি এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর কোনো সুযোগই থাকবে না। অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে ঢাকার পাশাপাশি সিলেট ও চট্টগ্রাম নগরীও পড়বে বড় ঝুঁকিতে। যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের গবেষকদলের ‘নেচার জিওসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ভূ-গঠন বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে তাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হলে তা বাংলাদেশ ও এর আশপাশ অঞ্চলের ১৪ কোটি মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। দু’টি গতিশীল ভূ-পাটাতন পরস্পরের উপর চেপে থাকায় প্রবল ভূমিকম্পের উপযোগী শক্তি ক্রমাগত জমা হচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের অঞ্চল সম্ভাব্য শক্তিশালী ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হতে পারে। ভূমিকম্প নিয়ে যতটা ভয়-আতঙ্ক সেই তুলনায় সব পর্যায়ে এই দুর্যোগের ব্যাপারে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতিতে পেছনে পড়ে আছে বাংলাদেশ। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিকল্পিত নগরায়ন, পাহাড়-টিলা, জলাশয়, নদী-নালা-খাল, ভূমিরূপ, পরিবেশ-প্রকৃতিকে সুরক্ষা, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ‘ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’ কঠোরভাবে অনুসরণ, প্রাক-প্রস্তুতি ও গণসচেতনতা প্রয়োজন। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি আগেই নিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো এখনই ভূমিকম্প সহনীয় করতে হবে। ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা তৈরি করতে হবে। বিল্ডিং কোড আপডেট করতে হবে এবং তা মেনে ভবন তৈরিতে মানুষকে বাধ্য করতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button