পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন
অবৈধ ইট ভাটায় ফসলি জমির ক্ষতি
দিন দিন বেড়েই চলছে অবৈধ ইট ভাটা। সারা বাংলাদেশ জুরে রয়েছে একাধিক অবৈধ ইট ভাটা। পুড়ছে কাঠ ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ইট ভাঁটা তৈরি আইনের তোয়াক্কা না করে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট যা সম্পূর্ণ ভাবে নিষেধ। তা সত্ত্বেও বছরের পড় বছর ওই সব ভাঁটা ইট তৈরির কাজে বহাল রেখেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা জায় প্রশাসন সাময়িক জরিমানা করলে বা চিমনি ভেঙে দিলে ও কয়েক দিনের মধ্যেই আবার ঐ সব ভাঁটা ইট তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়। প্রতিবছরই ইটভাটার সংখ্যা বাড়ছে। ভাঁটা স্থাপনে লাইসেন্স গ্রহণের কথা থাকলেও মালিকরা তা আমলে নিচ্ছেন না। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইটভাটা স্থাপনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পরিত্যক্ত অনাবাদী জমি, নিচু জলাশয়ের ধারে, নদীর পাশে এবং কমপক্ষে চারদিকে ১ কিলোমিটার জনশূন্য এলাকায় ইটভাটা স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমান সারা দেশে বেশির ভাগ ইটভাটা লোকালয়, বিদ্যালয় ও কৃষিজমির মধ্যে গড়ে উঠেছে। আর যেসব ইটভাটা চালু রয়েছে তার অধিকাংশ মালিকই জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ না করেই বছরের পর বছর ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাবে আশে পাশের ফসলের জমিতে কোন ফসল ফলছে না দেশে দেখা দিয়েছে খাদ্য ঘাটতি। এইসব ভাটার কালো ধোয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন-মন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে ইট ভাটার সংখ্যা ৭ হাজার ৮৮১। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৪৮টি অবৈধভাবে পরিচালিত। আর ৪ হাজার ৬৩৩টি ইটভাটা পরিবেশগত। এ ছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাঁটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি তিন বছরের কারাদ- অথবা তিন লাখ টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ে দন্ডিদিত হবেন। এখন প্রশ্ন হলো, দেশে অবৈধ ইট ভাঁটা স্থাপনে এত আইন থাকতে কেন বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ইট ভাঁটা ? তাহলে কি প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না? অবৈধ ভাঁটা যদি এভাবে চলতেই থাকে তাহলে ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট সহ চরম খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে তাই এ কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হওয়ার আগেই প্রশাসনকে কে অবৈধ ভাঁটা মালিকদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর পদক্ষেপ। বন্ধ করে দিতে হবে সকল অবৈধ ইট ভাটা। পাশাপাশি নতুন করে কেউ যেন আর অবৈধ ইটভাটা তৈরি করতে না পারে এজন্য প্রশাসন কে সচেতন হতে হবে।