সম্পাদকীয়

ব্যবসা-বাণিজ্যে অচলাবস্থা, সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

‘করোনা পরিস্থিতির চেয়েও ভয়াবহ মন্দা যাচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ব্যবসায়ে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থা কবে দূর হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’ কারফিউ জারির প্রথম চার দিন বন্ধ থাকার পঞ্চমদিন থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলতে শুরু করে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকার সময় এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। ক্রেতা না থাকায় অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বউনি পর্যন্ত করতে পারছে না। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। ক্রেতারা চাল, ডাল, সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্র খুব একটা কিনছেন না। কারফিউ শিথিলের সময় নগরের বিপণিবিতান ও দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায় না। কারফিউ চলাকালে প্রথম চার দিন বিপণিবিতান ও দোকানপাট পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এখন কারফিউ শিথিল হলেও মানুষ ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছেন না। যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম। এতে বেচাকেনায় স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থায় চলতি মাসে অনেকে দোকানভাড়া ও কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাবেন। কারন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কারণে ১২-১৩ দিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে না। ঢাকার শপিং এর গুরুত্ব পূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত নিউমার্কেট-গাউছিয়া এলাকার সব বিপণিবিতান খুলেছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে সকাল কারফিউ শিথিল থাকা পর্যন্ত এসব বিপণিবিতানের দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতা না থাকায় দোকানিরা অলস সময় পার করছেন। গত ১২ জুলাই ভারী বর্ষণে নিউমার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংস রুপ ধারণ করলে কারফিউ জারি করা হয়। সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহ ধরে কোনো ব্যবসা হচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। অভিজাত শপিং মল ফ্যাশন হাউস গুলোও ক্রেতার শুন্য একপ্রকার নিয়ম রক্ষার মতো দোকানপাট খুলছেন অধিকাংশ দোকানি। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বেশি চাপে আছেন। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকঋণে জর্জরিত। আবার অনেকে এখন কারেন্ট বিল, কর্মীদের বেতন ও দোকানভাড়া কীভাবে মেটাবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। যেহেতু মানুষের মধ্যে এখনো একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই বিক্রিতে ধস নেমেছে। ফলে দ্রুত সকল সমস্যার সমাধান হোক। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button