সম্পাদকীয়

জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অনিয়ন্ত্রিত বাজার পরিস্থিতি

নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামের কারণে এরইমধ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য আমদানি উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিয়মিত বাজার তদারকি করছে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ডিমের দাম আরো বেড়েছে। বাজারে ডিমের হালি ৬০ টাকা এবং ডজন ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় দাম আরো বেশি। বেড়েছে মুরগির দামও। প্রতিটি সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে। না বাড়লেও কমছে না আলু, পেঁয়াজের দাম। বিদেশি ফল খাওয়ার কথা এখন বেশির ভাগ মানুষের চিন্তায়ও আসে না। দেশি বিভিন্ন ফলের দামও অনেক বেশি। ডিমের বাজারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। ডিম উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ডিমের চাহিদা আছে দৈনিক চার কোটি পিস। উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় তিন কোটি ৭০ থেকে ৭৫ লাখ পিস। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছে, চাহিদা ও সরবরাহের এই ঘাটতির সুযোগ নেয় কিছু করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। সংগঠনটির দাবি, গত ২০ দিনেই ডিম ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে এই সিন্ডিকেট প্রায় ২৮০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। যদিও গত মঙ্গলবার আরও চার কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আমরা আশা করি, এতে ডিমের বাজার কিছুটা হলেও স্থিতিশীল হবে। তবে এই আমদানি প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে না হলে সুফল পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়। বাজারে পণ্যমূল্যের অস্বাভাবিক দামের কারণে মানুষের নাভিশ^াস উঠে গেছে। তাই তাদের স্বস্তি দিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button