বিজয় দিবস, আশা, ঐক্য ও অগ্রগতির প্রতীক

১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় দিন। এই দিনটি শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্মারক নয়; এটি আত্মপরিচয়, আত্মবিশ^াস ও সম্ভাবনার প্রতীক। বিজয় দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়-একটি জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন কোনো বাধাই অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় আমাদের শিখিয়েছে সাহস ও দৃঢ়তার মূল্য। সাধারণ মানুষ, তরুণ-তরুণী, কৃষক, শ্রমিক-সবাই মিলেই রচনা করেছিলেন এই বিজয়ের ইতিহাস। সেই সম্মিলিত শক্তিই আজও আমাদের পথচলার অনুপ্রেরণা। বিজয় দিবস তাই কেবল অতীতের গৌরব স্মরণের দিন নয়, এটি বর্তমানকে শক্তিশালী করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই এগিয়েছে। তবু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে দেশের এগিয়ে যাওয়ার চিত্র বিজয় দিবসকে নতুন মাত্রা দেয়। এই অগ্রগতি প্রমাণ করে-আমরা পারি, আমরা এগোতে জানি। বিজয় দিবস আমাদের মূল্যবোধের কথাও মনে করিয়ে দেয়। মানবিকতা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা-এই গুণগুলোই একটি জাতিকে সত্যিকার অর্থে সমৃদ্ধ করে। ছোট ছোট ইতিবাচক কাজের মধ্য দিয়েই বিজয়ের চেতনা প্রতিদিনের জীবনে বাস্তব রূপ নিতে পারে। নতুন প্রজন্মের চোখে বিজয় দিবস মানে সম্ভাবনার দুয়ার। তারা ইতিহাস থেকে প্রেরণা নিয়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতায় দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। এই বিশ^াসই আমাদের আশাবাদী করে তোলে। এই বিজয় দিবসে আমাদের কামনা হোক-লাল-সবুজের দেশ আরও আলোকিত হোক শিক্ষা, নৈতিকতা ও পারস্পরিক সম্মানে। ঐক্য, পরিশ্রম ও আশার শক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক আরও দৃঢ় পদক্ষেপে। বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়–ক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
