বিনোদন

নানা হারালেন পরীমনি

প্রবাহ বিনোদন: চিত্রনায়িকা পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী আর নেই। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া উন্না ইলাইহি রাজিউন)। ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ খবরটি জানিয়েছেন পরীমনির ঘনিষ্ঠজন ও নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। পোস্টে চয়নিকা জানিয়েছেন, পরীমনির প্রিয় নানুভাই রাত ২টা ১১ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গিয়েছেন। আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর ভোর ৪টায় পরীমনি নানুভাইকে নিয়ে এখন তার নিজ গ্রামের পথে। সেখানেই নানীর পাশে নানুভাইকে শায়িত করা হবে।” পরীমনির নানার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে চয়নিকা লিখেছেন, “সবাই পরীর জন্যে, পরীর নানুভাইর জন্যে দোয়া / প্রার্থনা করবেন, যেন পরপারে তিনি শান্তিতে থাকেন। পরী যেন সহ্য শক্তি পায়। আহা! নানুভাই আপনাকে কোনোদিন ভুলবো না। আমার দেখা আপনি অসাধারণ সুশিক্ষিত একজন মানবিক মানুষ। আপনার ভালোবাসা অমলিন। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।” কিছুদিন আগে ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার শুটিং সেটে সাংবাদিকদের কাছে নানার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির খবর দিয়েছিলেন পরীমনি। তিনি বলেছিলেন, “আমার নানুভাই হাসপাতালে, আমি নিজেও হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। সব মিলিয়ে পারিবারিকভাবে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। নানুভাইয়ের এখন যে অবস্থা, কখন যে কী ঘটে যায়, বলা যায় না। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না। নানুভাই না থাকলে আমার যে কী হবে। কীভাবে থাকব আমি!” ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে পরীমনি বেড়ে ওঠেন ভা-ারিয়ায় তার নানা বাড়িতে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকপাস করেছেন পরীমনি। পরীমনির ভাষ্য অনুযায়ী, নানা শামসুল গাজীই ছিলেন তার ‘অভিভাবক’। পরীমনি ঢাকায় স্থায়ী হলেও তার নানা শামসুল হক ভা-ারিয়াতেই থাকতেন। তবে পরীমনির সুসময়-দুঃসময়ে বরাবর নাতনির পাশে দেখা গেছে তাকে। শামসুল হক গাজীর বাড়ি পিরোজপুরের ভা-ারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button