বিনোদন

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, মুখ খুললেন অপূর্ব

প্রবাহ বিনোদন: টিভি নাটকের অঘোষিত কিং তিনি। তার বিরুদ্ধেই কিনা উঠলো অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ! শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটেছে। অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভুঁইয়া (শাহরিয়ার শাকিল) স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব) এবং অভিনয় শিল্পী সংঘের দফতরে। গত সোমবার এই অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগ অনুসারে, ২৪টি নাটকে অভিনয় করবেন, এই মর্মে আলফা আই স্টুডিওসের সঙ্গে ২০২২ সালের অক্টোবরে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অপূর্ব। চুক্তি অনুযায়ী তাকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু ৯টি নাটকে কাজ করে দুই দফায় ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে আর কাজ করেননি অভিনেতা। এমনকি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে লেখা রয়েছে অভিযোগপত্রে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সবগুলো নাটকের কাজ শেষ করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। এরপর চলতি বছরের ১৯ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি শুটিং করবেন বলে কথা দেন। সেই মোতাবেক সব প্রস্তুতি নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে না আসায় বিপাকে পড়ে আলফা আই। গোটা বিষয় নিয়ে গত ৩ মার্চ অপূর্বর বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। সাত দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হলেও সাড়া দেননি অভিনেতা। তাই আদালত পর্যন্ত যাওয়ার আগে সাংগঠনিকভাবে বিষয়টির সুরাহা করতে টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল। প্রসঙ্গটি নিয়ে জানতে অপূর্বর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলা ট্রিবিউন। সাড়া দিলেন বটে। কিন্তু সেভাবে কিছু বললেন না। আইনজীবীর কোর্টে বল রেখে দিলেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘বিষয়টি এখন আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে এবং আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশও (টেলিপাব) বিষয়টি নিয়ে অবগত; তারা যা বলার বলবেন। একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন। যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় আমি এগোচ্ছি, তাই এটা নিয়ে কোনও মন্তব্য বা কথা এই মুহূর্তে বলতে চাই না।’ তবে এটুকু যোগ করলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে অভিযোগটি এসেছে তা মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও সন্মানহানিকর। আমি দীর্ঘদিনের সুপরিচিত একজন অভিনয়শিল্পী। অর্থ আত্মসাতের মতো নোংরা মিথ্যা অভিযোগে আমার মতো একজন শিল্পীকে জড়ানো হচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।’ এদিকে টেলিপ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সাজু মুনতাসির জানিয়েছেন, তারা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। এবার দুই পক্ষকে ডেকে পুরো ঘটনা শুনবেন এবং সাংগঠনিকভাবেই এর সুরাহা করার চেষ্টা করবেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button