বিনোদন

অনুশোচনায় ভুগছেন পরীমনি

প্রবাহ বিনোদন: ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে সংসার টেকেনি। চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাই ছেলে পুণ্যকে পরিপূর্ণ সময় দিচ্ছেন অভিনেত্রী পরীমনি। এরইমধ্যে অভিভাবকত্ব নিয়েছেন একটি কন্যাশিশুর। বর্তমানে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে পরীমনির ভরা সংসার। মাতৃত্বকালীন বিরতির পর ফিরেছেন কাজেও। কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব পরীমনি। প্রায়ই বিভিন্ন ভিডিও, ছবি কিংবা পোস্ট দেন তিনি, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেন আর ভক্তদের মধ্যে। এবার পরী জানালেন, বড় একটা ভুল করে অনুশোচনায় ভুগছেন তিনি। গত মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন পরী। ভিডিওতে দেখা গেছে, পুটু নামের একটি পোষা কুকুরছানার নাম ধরে কথা বলছে পরীর ছেলে পুণ্য। এই ভিডিওর দীর্ঘ ক্যাপশনে পরী জানান তার ভুলের কথা, যার কারণেই এত অনুশোচনা হচ্ছে নায়িকার। দীর্ঘ সেই পোস্টে পরী লিখেছেন, ‘একটা ভুল করেছি আমি। আমার এই পোষ্যর নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। পুটু আমার সঙ্গে আছে ১০ বছর ধরে! আমার ছেলে হবার আগে ও সব সময় আমার সঙ্গে ঘেঁষে থাকত। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাত। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাই না।’ পরী বলেন, ‘ছেলে আসার পরই পুটুর বিছানা আলাদা হয়ে গেল। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিল। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেল।’ পরী লিখেছেন, ‘এরপর যখন আমার ছেলে হাঁটা শুরু করল, তখন ফ্লোরে ছেলের সঙ্গে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইত। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম, পুটু যদি কামড় দিয়ে দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পায়। সে-ই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। আজকাল হঠাৎ আমি খেয়াল করলাম, ছেলেও পুটুর সঙ্গে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে, ‘এই পুটু, যাও যাও।’ আমি বুঝতে পারলাম, এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে, তা-ই তো শিখবে!’ বিষয়টি বোঝার পরই ধীরে ধীরে পুটুর সঙ্গে ছেলের বন্ধুত্ব করালেন পরী। ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, কথা বলা, একসঙ্গে ছেলেকে নিয়ে খেলা করেন নায়িকা। এগুলো দেখেই ধীরে ধীরে পরীর ছেলে পুটুর সঙ্গে অনেকটা স্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেছে, যা পরীকে প্রশান্তি দিয়েছে। কিন্তু পোস্টে পরী আরও একটি বড় ভুলের কথা জানান, যা নিয়ে অনুশোচনায় ভুগছেন তিনি। পরী লিখেছেন, ‘ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন খুব করে পুটুর সঙ্গে থাকতে চায়, পুটুর সঙ্গেই খেলতে চায়, তখন দেখলাম, পুটুর ভয়টা এখনো কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি… হয়তো ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে। আমার মতন এই ভুল কেউ করবেন না আশা করি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেল আমার।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button