বিনোদন

নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে যা বললেন পপি

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আড়ালে। গত পাঁচ বছর শোবিজের কোনো আয়োজনেই তাকে দেখা যায়নি। এমনকি সামাজিক মাধ্যম থেকেও নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। অঘোষিত বিদায় জানিয়েছেন অভিনয়কেও। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিল বিয়ে করেছেন নায়িকা, রয়েছে একটি পুত্রসন্তান। তবে এ বিষয়েও এতোদিন মুখ খুলেননি তিনি। নীরবে গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছিলেন। অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন স্বামী-সন্তানসহ পাহাড়সমান অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে খুলনায় পৈতৃক সম্পত্তি দখলচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন মা ও বোন। বিষয়টি নিয়ে সাময়িকভাবে চুপ থাকলেও এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন নায়িকা। গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো একটি ভিডিও বার্তায় পপি বলেন, ‘২৮ বছর অনেক সুনামের সঙ্গে চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। কোটি কোটি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু আজ ক্যামেরার সামনে কথা বলছি একজন ব্যর্থ মানুষ হিসাবে। কারণ, সবার মন জয় করতে পারলেও ২৮ বছর আমি যাদের জন্য কাজ করেছি, যাদের এই হাতে লালন-পালন করেছি, তাদের কাছেই আমি একজন অযোগ্য মানুষ। তাদের মনের মতো করে নিয়ন্ত্রিত হতে পারেনি। আমি যখন ইনকাম করেছি, তখন আমি আমার পরিবারের কাছে প্রিয় একজন মানুষ ছিলাম। এখন তেমন দিতে পারি না, তাই আমি এখন তাদের কাছে শত্রুর মতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমার মা-বোন যে অভিযোগগুলো করছে, সবগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা সত্য একটি বিষয়কে অসত্য বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।’ এরপর পপি বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, আমি তো ভূমিদস্যু নই। আজ যাদের আমি দুই হাতে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করেছি, নিজের জীবনের সুন্দর সময় আমি যাদের জন্য ব্যয় করেছি, নিজের চাওয়া পাওয়া গুরুত্ব না দিয়ে তাদের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছি, কিন্তু এখন এসে দেখলাম তারা মানুষ তো হয়নি, উল্টো হিং¯্র প্রাণীর চেয়ে বেশি কিছু হয়েছে। যাদের মানুষ করেছি, তাদের কৃতজ্ঞতাবোধও নেই।’ পপির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ তুলে গত সোমবার সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বোন ফিরোজা পারভীন। জানা যায়, পৈতৃক ৬ কাঠা জমি দখলে নেওয়ার জন্য স্বামী আদনান উদ্দিন কামাল, কল্লোল মজুমদার ও শিপনসহ পপি গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিববাড়ি এলাকায় ভাড়াটিয়ার বাড়ির সামনে যান। এতে বাধা দিলে ফিরোজা পারভীনকে হুমকি দেন পপি ও তার স্বামী।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button