দীর্ঘ নীরবতার পর পপির ক্ষমা

প্রবাহ বিনোদন: বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণে একাধিক সিনেমা ঝুলে ছিল। এদের মধ্যে রয়েছে ‘ভালোবাসার প্রজাপতি’, ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ এবং আরও কিছু কাজ। নির্মাতারা পপির অনুপস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অবশেষে নীরবতা ভেঙে অভিনেত্রী এসব সিনেমার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অভিনয় থেকে দূরে থাকা পপি ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে উপস্থিত হলেও মূলত প্রকাশ্যে ছিলেন না। এ বছরের শুরুতে পারিবারিক কারণে তিনি প্রকাশ্যে আসেন এবং নিজের বিয়ে, সন্তান ও সংসারের খবর জানান। তখন নির্মাতারা আশাবাদী ছিলেন, হয়তো আটকে থাকা সিনেমাগুলোর কাজ তিনি শেষ করবেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
অবশেষে নিজের জন্মদিনে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পপি স্বীকার করেন, তার কারণে কয়েকটি সিনেমা ঝুলে গেছে। তিনি বলেন, “দুটি সিনেমা নয়, আমার আরও কয়েকটি সিনেমা আটকে আছে। তার জন্য মন থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমার কারণে এসব সিনেমার নির্মাতারা বিপাকে আছেন। কিন্তু মানুষের জীবনের সব সিদ্ধান্ত হয় ওপর থেকে। মানুষ চাইলেও অনেক কিছু করতে পারে না। মনের অজান্তেই হোক কিংবা পরিস্থিতির কারণে, আমার গ্যাপটা সৃষ্টি হয়েছে।”
পপি আরও বলেন, “ইচ্ছাকৃত নয়, অনিচ্ছাকৃতভাবেই কাজগুলো আটকে গেছে। আমি কাউকে কোনো দিন বিপদে ফেলিনি, আমার দ্বারা কারও ক্ষতি হয়নি। ইচ্ছা আছে, যদি কখনো সুযোগ হয়, আটকে থাকা কাজগুলো শেষ করে দেব। না হলে মাফ চেয়ে নেওয়া ছাড়া করার কিছু নেই। তাঁরা যেন ভুল না বোঝেন, আমাকে মাফ করে দেন।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে পপি জানান, ক্যামেরার সামনে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে তিনি সিনেমা প্রযোজনা করার ইচ্ছা রাখেন। এর আগেও তিনি প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন। নতুন করে প্রযোজনা শুরু করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
পপির এই ক্ষমা ও স্বীকারোক্তি নির্মাতাদের কাছে আশা জাগিয়েছে এবং ভক্তদের মনে আস্থা রেখেছে যে, সময়ের সুযোগে অভিনেত্রী আটকে থাকা কাজগুলো শেষ করতে পারেন।