লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ইসরায়েল
প্রবাহ ডেস্ক : লোহিত সাগরে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে দখলদার ইসরায়েল। সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইয়েমেনের হুথি সমর্থিত সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরে ইসরায়েলের কয়েকটি জাহাজ আটক এবং ইসরায়েল অভিমুখী জাহাজে হামলার পর ইসরায়েলি সেনারা এই ব্যবস্থা নিল। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনারা দুই মাস ধরে যে বর্বর সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে তার অবসানের দাবিতে ইয়েমেনের সেনারা ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে এবং কিছু জাহাজ আটক করেছে। এছাড়া ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত ন্যাশনাল সালভেশন সরকারের তথ্যমন্ত্রী জাইফুল্লাহ আস-শামি লোহিত সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী যেকোনো দেশের জাহাজ চলাচলে বাধা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিরি জন্য ইয়েমেন প্রস্তুত রয়েছে। ইসরায়েল যে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে সেগুলো এর আগে ইসরায়েলের গ্যাসক্ষেত্র এবং জাহাজ চলাচল রুটের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত¦ পালন করতো। ইসরায়েল জার্মানির কাছ থেকে এসব যুদ্ধজাহাজ কিনেছে। এগুলোতে ইসরায়েলি অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে জার্মানি তেল আবিবের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বাড়িয়ে দিয়েছে। লোহিত সাগরে ইসরায়েলের এ ধরনের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ফলে ওই এলাকায় বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব যুদ্ধ জাহাজ থেকে দখলদার সেনারা যদি ইয়েমেনের হুথি গেরিলা এবং সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে তাহলে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে এবং যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। সম্প্রতি একটি ইউরোপীয় বাণিজ্যিক ট্যাংকার জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, গত সোমবার মধ্যরাতে স্ট্রিন্ডা নামে নরওয়েজিয়ান মালিকানাধীন জাহাজটিতে হামলা চালানো হয়। সেন্টকম এক বিবৃতিতে বলেছে, বাব এল-মান্দেব প্রণালী পার হওয়ার সময় জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয় স্ট্রিন্ডা। ক্ষেপণাস্ত্রটি ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে ছোড়া হয়েছিল। জানা গেছে, তেল ও রাসায়নিক বহনকারী ট্যাংকারটি ইতালি যাচ্ছিল। বার্জেন-ভিত্তিক শিপিং কোম্পানি মউইনকেলস রেডারি এর মালিক ও পরিচালক। এখন পর্যন্ত এই হামলা দায় স্বীকার করেনি হুথি বিদ্রোহীরা। যদিও তাদের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এপি’কে জানিয়েছেন, খুব শিগগির একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে চলেছে।