হেলিকপ্টার দিতে রাজি জার্মানি, ইউক্রেন চায় ক্ষেপণাস্ত্র

প্রবাহ ডেস্ক : ইউক্রেনকে সামরিক হেলিকপ্টার দিতে রাজি হলো জার্মানি। কিন্তু ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা জার্মানির কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র চায়। সে জন্য আলোচনাও করছে। কিন্তু তাদের এই অনুরোধ গত সপ্তাহে জার্মানির পার্লামেন্ট খারিজ করে দিয়েছে। এক দিন আগেই জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ছয়টি সামরিক হেলিকপ্টার ও তার যন্ত্রাংশ দেওয়া হবে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে এই হেলিকপ্টার চালানোর প্রশিক্ষণও দেবে জার্মানি।
কেন ইউক্রেন ক্ষেপণাস্ত্র চায়?
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ভূখ-ে গিয়ে আক্রমণ চালানোর জন্য তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের দরকার নেই। কুলেবা বলেছেন, ‘মস্কোতে আক্রমণ করার জন্য আমাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র দরকার নেই। রাশিয়া ইউক্রেনের যে জায়গাগুলো নিয়ে রেখেছে, সেখানে তাদের পরিকাঠামোর ওপর আক্রমণ করার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের দরকার।’ জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এখনো পর্যন্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র দিতে অস্বীকার করেছেন। জার্মানির আশঙ্কা, ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দিলে রাশিয়া আক্রমণের তীব্রতা আরো বাড়াবে। পার্লামেন্টে বিরোধীরা ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু শোলজের নেতৃত্বাধীন জোট গত সপ্তাহে সেই অনুরোধ খারিজ করে দেয়।
হেলিকপ্টার দেওয়া হবে
জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে ছয়টি সি কিং এমকে ৪১ মাল্টিপারপাস হেলিকপ্টার দেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, সি কিং খুবই শক্তিশালী হেলিকপ্টার, এটা হাতে পেলে অনেক জায়গায় ইউক্রেনের সুবিধা হবে। তারা প্রয়োজনে কৃষ্ণ সাগরে সেনাও পাঠাতে পারবে। জার্মানি থেকে এই প্রথম এই ধরনের হেলিকপ্টার দেওয়া হলো। এক দশক পুরনো এই হেলিকপ্টারগুলো এখন মূলত সমুদ্রে উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হয়। নতুন এনএইচ-৯০ সি লায়ন হেলিকপ্টার এখন জার্মানির হাতে রয়েছে। এই নতুন হেলিকপ্টারই সি কিংয়েরর জায়গা নেবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে জার্মানি ৬০০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র ও সামরিক জিনিস ইউক্রেনকে দিয়েছে।