আন্তর্জাতিক

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা পুনরায় শুরু করবে ইসরায়েল

প্রবাহ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির প্রচেষ্টা নতুন গতি পেয়েছে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস সমঝোতার নতুন প্রস্তাব দেওয়ার পর গতকাল শুক্রবার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, তারা স্থগিত আলোচনা পুনরায় শুরু করবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন। এ সময় তিনি বলেছেন, আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবেন। ইসরায়েলের একটি সূত্র জানিয়েছে, মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের নেতৃত্বে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেবে। ইসরায়েলের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, হামাসের প্রস্তাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, বুধবার ইসরায়েল হামাসের প্রস্তাব পেয়েছে। হামাসের প্রস্তাবটি প্রাপ্তির পর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া অতীতের তুলনায় ইতিবাচক ছিল। প্রায় নয় মাসের দীর্ঘ গাজা যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েল হামাসের শর্তগুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে আসছিল। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামাসের নতুন প্রস্তাবটি যদি ইসরায়েল গ্রহণ করে তবে তা একটি কাঠামোগত চুক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। নতুন প্রস্তাবে হামাস চুক্তির স্বাক্ষরের পূর্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের অঙ্গীকারের শর্ত দাবি করেনি। এতে ছয় সপ্তাহের প্রথম পর্যায়ে আলোচনায় সেটি অর্জনের সুযোগ রাখা হচ্ছে। এর আগে হামাস বলেছিল, যেকোনও চুক্তির শর্ত হতে হবে যুদ্ধের অবসান এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের সেনাদের পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করা। এ ছাড়া গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দাবি করে আসছিল। অন্যদিকে, ইসরায়েল বলেছে তারা কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে রাজি। হামাস নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চালাবে তারা। উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় এই যুদ্ধের সূত্রপাত। ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুসারে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন বেসামরিক নাগরিক ও সেনাকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক আক্রমণে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং উপকূলীয় ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button