লেবাননে আরও সেনা পাঠাচ্ছে ইসরায়েল
প্রবাহ ডেস্ক : দক্ষিণ লেবাননের স্থল অভিযানে চতুর্থ একটি ডিভিশন মোতায়েন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে লাব্বোউনেহ শহরে ‘দখলদার’ বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে সার্থক হয়েছে বলে দাবি করছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের দক্ষিণ-পশ্চিমে লাব্বোউনেহতে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হিজবুল্লাহ সদস্যরা চড়াও হয়েছে বলে গত মঙ্গলবার দাবি করেছে দলটি। লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউনিফিল) এখানে প্রধান কার্যালয় স্থাপন করেছে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল-ইস্ট আই এ খবর জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ‘বুলডোজার ও সামরিক বাহনসহ সীমান্তবর্তী লাব্বোউনেহ-এর দিকে অগ্রসর হচ্ছিল শত্রুবাহিনী। আমাদের যোদ্ধারা তাদের ওপর গুলি বর্ষণ ও রকেট হামলা চালিয়েছে। এতে হতাহতের শিকার হয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় শত্রু বাহিনী।’ ধারণকৃত এক বক্তব্যে গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাশেম বলেছেন, ইসরায়েলের স্থল বাহিনী আর ‘অগ্রসর হয়নি’। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে তৈরি হিজবুল্লাহ। বক্তৃতা প্রচারের কয়েক মিনিট পর বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে অন্তত দুটি ইসরায়েলি বিমানহামলা হয়। এই হামলায় বৈরুতের বিমানবন্দর সংযোগকারী একটি সেতু অল্পের জন্য বিধ্বস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পায়। এদিকে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। লেবানন থেকে দুই দফায় শতাধিক রকেট ইসরায়েলের হাইফা শহরে আঘাত হেনেছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। গাজা যুদ্ধের পর থেকে প্রথম এত বড় হামলার শিকার হলো শহরটি। সেনাবাহিনীর দাবি, প্রথম দফায় ৮৫টি রকেট ছিল। আর দ্বিতীয় দফায় ছিল অন্তত ২০টি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কয়েকটি সড়কের বিধ্বস্ত ফুটেজ দেখা গেছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর ১৪৬তম রিজার্ভ ডিভিশন লেবাননে অভিযান শুরু করে। তার মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে তৃতীয় একটি ডিভিশন মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে লেবাননে ১৫ হাজারের অধিক ইসরায়েলি সেনাসদস্য অবস্থান করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।