ভারতের বিরুদ্ধে দেওয়া সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবার উঠে যাবে?
প্রবাহ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের ফলে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন সম্পর্কে নতুন মাত্রা আসতে পারে বলে আশাবাদী ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকে। গত চার বছরে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মসৃণ থাকলেও কয়েক দফায় বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার বদল আসবে বলে মনে করছেন তারা। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে। গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দেশের মোট ৩৯৮ সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাইডেন সরকার। এর মধ্যে ছিল ১৯টি ভারতীয় সংস্থা ও দুজন ভারতীয় নাগরিক। সে দিনই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে এর বিরোধিতা করে বলা হয়েছিল, ‘মিথ্যা অভিযোগে ভারতীয় সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।’ এখন হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রবেশের পর পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত সম্পর্ক এখানে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তাদের ধারণা। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া, আর্থিক লেনদেন ও কূটনৈতিক যোগাযোগে সহায়তার অভিযোগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ১২০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে চিহ্নিত করেছে। আর ট্রেজারি (অর্থ) বিভাগ চিহ্নিত করেছে ২৭০ ব্যক্তি ও সংস্থাকে। এ ছাড়া বাণিজ্য দপ্তর ৪০টি সংস্থাকে ‘অভিযুক্ত’ ঘোষণা করেছে। তারই ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এসব তালিকায় মোট ১৯টি ভারতীয় সংস্থা রয়েছে। প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, গত চার বছরে ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে পশ্চিমাবিশ্বে নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে ভারতের নিশ্চুপ থাকা, এমনকি মার্কিন ভূখ-ে খালিস্তানপন্থী নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের চেষ্টায় অভিযোগে মোদি সরকারকে নিশানা করেছে বাইডেন প্রশাসন। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পান্নুনকা-ে সমন গিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের কাছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে সেই পরিস্থিতি বদলাতে পারে বলে মনে করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেকে।