আন্তর্জাতিক

সিরিয়ায় খাদ্য সরবরাহে আগ্রহী ইউক্রেন

প্রবাহ ডেস্ক : বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় খাদ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত রয়েছে ইউক্রেন। গত শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন দেশটির কৃষিমন্ত্রী ভিটালি কোভাল। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোভাল বলেছেন, সিরিয়াতে পরিস্থিতি বেশ শোচনীয়। তাই, সেখানে আমাদের খাদ্য সরবরাহ করা উচিত। খাদ্য সরবরাহে আমাদের দিক থেকে কোনও বিধিনিষেধ নেই। যদি সিরিয়া চায়, তবে আমরা তাদের পাশে আছি। এর আগে, সিরিয়ায় গম সরবরাহ স্থগিত করেছে রাশিয়া। নতুন সরকারের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা ও মূল্য পরিশোধে বিলম্ব হওয়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একাধিক রুশ ও সিরীয় সূত্র রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আসাদের আমলে রাশিয়া থেকে নিয়মিত খাদ্য আমদানি করতো সিরিয়া। তবে নতুন সরকারের অধীনে দামেস্ক ও মস্কোর সম্পর্ক কেমন হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার ফেব্রুয়ারি ২০২২-এর আক্রমণের পর ইউক্রেনের রপ্তানি বিপর্যস্ত হয়েছিল, যা কৃষি পণ্য বিশেষ করে গম এবং তেল বীজের রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়। তবে, ইউক্রেন এখন একপ্রকার সাগর অবরোধ ভেঙে দিয়ে ওদেসা বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি পুনরায় শুরু করেছে। বিশ্বের অন্যতম খাদ্যশস্য ও তেলবীজ উৎপাদনকারী ও রফতানিকারক দেশ হচ্ছে ইউক্রেন। প্রথাগতভাবে, মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে গম ও ভূট্টা রফতানি করে থাকে কিয়েভ। তবে সিরিয়া তাদের প্রধান গন্তব্যস্থল ছিল না। রফতানিকারকদের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৩/২৪ মৌসুমে সিরিয়ার বাজারে ছ হাজার মেট্রিক টন ইউক্রেনীয় ভুট্টা প্রবেশ করেছে। অথচ দেশটির মোট খাদ্যশস্য রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় দুই কোটি ৯৪ লাখ টন। তবে, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে মাধ্যমে কিছু ইউক্রেনের কিছু খাদ্যশস্য সিরিয়ায় পৌঁছাতে পারে। তবে সেগুলি ওই পরিসংখ্যানের মধ্যে ধরা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। রাশিয়ার একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন আসাদ। তার পতনের পর সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেছেন, সিরীয় জনগণের প্রতি কিয়েভের সমর্থন রয়েছে। ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথ তৈরি করতে প্রস্তুত তারা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button