জিম্মি মুক্তির আলোচনায় মোসাদ প্রধানকে কাতার পাঠালেন নেতানিয়াহু

প্রবাহ ডেস্ক : গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলকে কাতারে পাঠিয়েছেন। গত শনিবার এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একজন প্রতিনিধি এবং ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতানিয়াহু বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি মোসাদ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান, শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান, জেনারেল নিজান আলোন এবং পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা ওফির ফালককে দোহার উদ্দেশে রওনা হওয়ার নির্দেশ দেন। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতায় গাজা যুদ্ধের অবসান এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ‘জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম’ নামের একটি গোষ্ঠী। তারা একে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং জানিয়েছে, শেষ ব্যক্তিটিকেও ফিরিয়ে আনার নিশ্চয়তা দিয়ে একটি চুক্তি করুন। গত সপ্তাহে কাতারে পুনরায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালের হামলায় গাজায় নিয়ে যাওয়া জিম্মিদের মুক্তি। জো বাইডেন গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, আলোচনায় ‘বাস্তব অগ্রগতি’ হয়েছে। অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। হামাসের ওই হামলায় ১ হাজার ২০৮ জন ইসরায়েলি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। একই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও গাজায় আছেন, যাদের মধ্যে ৩৪ জনকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মৃত ঘোষণা করেছে। ইসরায়েলের পাল্টা সামরিক অভিযানে গাজায় ৪৬ হাজার ৫৩৭ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক বলে জাতিসংঘ সমর্থিত তথ্য অনুসারে জানা গেছে।