আন্তর্জাতিক

মস্কোতে ইউক্রেনের বড় ড্রোন হামলা, নিহত ১

প্রবাহ ডেস্ক : রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ইউক্রেন বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে মস্কো ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত একজনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩ জন। ওই অঞ্চলে বিমান ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন, মস্কোর দিকে আসা অন্তত ৬৯টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। মস্কো ও আশপাশের অঞ্চলে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের বসবাস। এটি ইউরোপের বৃহত্তম মহানগরীগুলোর মধ্যে একটি। রাশিয়ার বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, হামলার পর নিরাপত্তার স্বার্থে মস্কোর চারটি প্রধান বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া মস্কোর পূর্ব দিকে ইয়ারোস্লাভল এবং নিজনি নভগোরোদ অঞ্চলের আরও দুটি বিমানবন্দরও বন্ধ রাখা হয়েছে। গভর্নর আন্দ্রে ভোরোবিয়ভ বলেছেন, ক্রেমলিন থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে রামেনস্কোয়ে জেলায় এক বহুতল ভবনে কমপক্ষে সাতটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, মস্কোর দক্ষিণে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে ডোমোদেদোভো জেলার একটি ট্রেন স্টেশনের রেল অবকাঠামো ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থার ঘনিষ্ঠ বাজা নামে একটি টেলিগ্রাম নিউজ চ্যানেল এবং অন্যান্য রুশ সংবাদ মাধ্যম মস্কোর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় আগুন লাগার ভিডিও পোস্ট করেছে, যা তারা দাবি করেছে ড্রোন হামলার কারণে ঘটেছে। একাধিক ভিডিওতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকা-ের দৃশ্য দেখা গেছে। রয়টার্স এই দাবিগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এই হামলা এমন সময়ে ঘটল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা করতে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। কিয়েভ বারবার বলেছে যে তাদের এই ধরনের হামলার লক্ষ্য রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা, যা মস্কোর সামগ্রিক যুদ্ধ প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা এটিও দাবি করেছে যে এই হামলাগুলো রাশিয়ার অব্যাহত ইউক্রেন বোমাবর্ষণের পাল্টা জবাব। উভয় পক্ষই সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউক্রেনীয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button