ইসরায়েলের বিমানবন্দরে হাইপারসনিক মিসাইল হামলা চালিয়েছে হুথিরা

প্রবাহ ডেস্ক : ইয়েমেনের হুথি আন্দোলন একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করে ইসরায়েলের তেল আবিবের বেন-গুরিয়ন বিমানবন্দরে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। গতকাল বুধবার সংগঠনটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা হুথিদের বিবৃতি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিমানবন্দরে হুথি বিদ্রোহীদের এটি তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।মুখপাত্র ইয়াহিয়া বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রম প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়। হুথিরা ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যতক্ষণ না ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আক্রমণ বন্ধ করে। গাজা উপত্যকায় সংঘাত তীব্রতর হওয়ার সাথে সাথে হুথিরা ঘোষণা করে, তারা ইসরায়েলি ভূখ-ে আক্রমণ চালাবে এবং লোহিত সাগর ও বাব এল-মান্দেব প্রণালীর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলিপন্থী জাহাজগুলোকে চলাচলে বাধা দেবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর হুথিদের আক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মার্চের শুরুতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে হুথিরা প্রথমে লোহিত সাগরে ইসরায়েলি জাহাজের ওপর পুনরায় আক্রমণ শুরুর ঘোষণা দেয় এবং তারপর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণের প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করে। ১৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভূখ- নিয়ন্ত্রণকারী হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা শুরু করে। মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের মতে, এই অভিযানের লক্ষ্য আমেরিকান স্বার্থ রক্ষা করা এবং নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। এর প্রতিক্রিয়ায় হুথিরা উত্তর লোহিত সাগরে অবস্থিত ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীতে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়। হামলার ফলে জাহাজটির ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে হুথিরা।