মার্কিন-ইরান পরমাণু আলোচনার আয়োজন করবে ওমান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রবাহ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের শত্রু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে তারা চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফা পরমাণু আলোচনার আয়োজন করবে ওমান । ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমি আনন্দের সাথে নিশ্চিত করছি যে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার ষষ্ঠ দফা আগামী রোববার মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হবে।’ ২০১৫ সালের চুক্তির স্থলাভিষিক্ত হিসেবে একটি নতুন পরমাণু চুক্তি করার লক্ষ্যে এপ্রিল থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটন পাঁচ দফা আলোচনা করেছে, যা ট্রাম্প ২০১৮ সালে তার প্রথম মেয়াদে বাতিল করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য ‘বিপজ্জনক’ মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঘোষণার দেয়ার কয়েক ঘন্টা পরই ওমানের এই ঘোষণা এল। ইসরাইল ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে এমন জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যে ট্রাম্প আবারো বলেছেন, তিনি ইরানকে পরমাণু বোমা বানাতে দিবেন না। গতকাল ইরান হুমকি দিয়েছে, যদি সংঘাত শুরু হয় তাহলে এই অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে টার্গেট করা হবে। ট্রাম্প সম্প্রতি পর্যন্ত আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, কিন্তু গতকাল প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে তিনি ‘কম আত্মবিশ^াসী’। জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প তেহরানের ওপর তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রচারণা পুনরুজ্জীবিত করেছেন। পরমাণু কূটনীতিকে সমর্থন করেছেন কিন্তু ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলিতে হামলা বন্ধ রাখার জন্য চাপ দিয়েছেন যাতে আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু ক্রমশ ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তিনি ধৈর্য হারাচ্ছেন। গতকাল, ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমরা চীনকে যা সম্মত হয়েছিল তা প্রদান করব, যার মধ্যে আমাদের কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয় ব্যবহারকারী চীনা শিক্ষার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত আছে।’ তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর ৫৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে। যার মধ্যে রয়েছে এ বছর তার ঘোষিত অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ শুল্ক এবং পূর্ব থেকে চালু গড় ২৫ শতাংশ হারে কর। চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে, যা আগে ঘোষিত সমঝোতার মতোই, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৪৫ শতাংশ এবং চীনের ১২৫ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছিল। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, বেইজিংয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেং বলেছেন, ভবিষ্যৎ আলোচনায় উভয় পক্ষের আরো সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় চীনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিনিধি লি চেংগাং বলেন, ‘আমাদের আলোচনা পেশাদার, যুক্তিসঙ্গত, গভীর এবং খোলামেলা হয়েছে’।