আন্তর্জাতিক

হামাস নেতাদের নির্মূল করলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে: নেতানিয়াহু

প্রবাহ ডেস্ক: হামাস নেতাদের নির্মূল করলে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটবে বলে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরাইল সফরের কয়েক ঘন্টা আগে বলেন, কাতারে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা তাদের জোটকে ব্যাহত করবে না। নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ বলেন, ‘কাতারে বসবাসকারী হামাসের সন্ত্রাসী নেতারা গাজার জনগণের কথা ভাবেন না। যুদ্ধকে অবিরামভাবে টেনে নেওয়ার জন্য তারা সমস্ত যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা অবরুদ্ধ করেন।’ তিনি বলেন, ‘তাদের নির্মূল করলে আমাদের সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ করার প্রধান বাধা দূর হবে।’ রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, কাতারের হামলায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘খুশি নন’, তবে এতে করে তাদের জোটের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। তার কিছুক্ষণ পরেই নেতানিয়াহু এ মন্তব্য করেন। রুবিও বলেন, এটি ইসরাইলিদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের প্রকৃতি পরিবর্তন করবে না, তবে আমাদেরকে এটি নিয়ে কথা বলতে হবে। রুবিও আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর এর কী প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অভিযান জোরদার করায় কয়েক মাস ধরে ব্যর্থ আলোচনার পরেও যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখন নাগালের বাইরে চলে গেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তারা এই অঞ্চলের বৃহত্তম নগর এলাকা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে, সেখানকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বলেছে ও হামাস কর্তৃক ব্যবহৃত অসংখ্য উঁচু ভবন ধ্বংস করে দিয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী এবং হামাসের মতে, হাজার হাজার মানুষ নগরী ছেড়ে চলে গেলেও, অনেকেই এখনও রয়ে গেছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গত শনিবার ইসরাইলি হামলায় সেখানে ৩২ জন নিহত হয়েছেন। প্রায় দুই বছরের যুদ্ধ জুড়ে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে অগ্রাহ্য করেছে। শুক্রবার, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ইসরাইলি বিরোধিতার প্রকাশ্য বিরোধিতা করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পুনরুজ্জীবনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। গাজা যুদ্ধ ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসরাইলের মিত্র ব্রিটেন ও ফ্রান্সসহ বেশ ক’টি পশ্চিমা দেশ চলতি মাসে জাতিসংঘের সভায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। তবুও, ইসরাইল তার সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র ও বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বজায় রেখেছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button