আন্তর্জাতিক

মধ্য এশিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন পুতিন

প্রবাহ ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ বৃহস্পতিবার তাজিকিস্তানে মধ্য এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি এ ধরণের দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন। প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে চীন ও ইউরোপের সঙ্গে মস্কোর টানাপোড়েন চলছে। খবর বার্তাসংস্থা এএফপি’র। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই অঞ্চলে রাশিয়ার ঐতিহাসিক নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পেয়েছে। ২০২২ সালে মধ্য এশিয়ার পাঁচ নেতার সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্টেন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন পুতিন, যিনি মস্কোর বিরুদ্ধে সোভিয়েত-পরবর্তী রাষ্ট্রগুলোর অবহেলা করার এবং তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান না দেখানোর অভিযোগ করেন। চীন ও ইউরোপ ইতোমধ্যে ক্ষমতার শূন্যতা পূরণের জন্য তৎপর হয়েছে। উভয় দেশই এই বছর মধ্য এশিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের শীর্ষ সম্মেলন করেছে এবং এই অঞ্চলের বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদে তাদের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণের আশা করছে। পুতিন গতকাল বুধবার তাজিকিস্তানে পৌঁছাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের নেতারা বৃহস্পতিবারের তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে যোগ দেবেন। কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এএফপিকে জানায়, এই শীর্ষ সম্মেলনে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো ‘তাদের অবস্থান এগিয়ে নেওয়ার’ পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে আস্থা তৈরি ও বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা করবে। রাশিয়া বলেছে, তারা ‘আলোচনা থেকে উল্লেখযোগ্য ও আকর্ষণীয় ফলাফল’ আশা করছে।

‘আমরা সম্মানিত হতে চাই’
মধ্য এশিয়ার পাঁচটি রাষ্ট্রই রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। অঞ্চলটি লাখ লাখ রুশ ভাষাভাষীর আবাসস্থল, যেখানে বিপূল সংখ্যক মধ্য এশিয়ার অভিবাসী রাশিয়ার শ্রম-নিবিড় শিল্পে কাজ করার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে। রাশিয়া কাজাখস্তানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক মূলত বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার আধিপত্যের পর, মধ্য এশিয়ার পাঁচটি প্রজাতন্ত্র বাণিজ্য ও নিরাপত্তার জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে মস্কো’র বাইরেও তাকাচ্ছে। অঞ্চলটি অস্ত্র সরবরাহের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে চীন ও তুরস্কের দিকে তাকিয়ে আছে, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এপ্রিলে তাদের শীর্ষ সম্মেলনের পর এই অঞ্চলে ১৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্রতিবেশী চীন ইতোমধ্যেই তার গৃহীত উন্নয়ন কৌশল ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর মাধ্যমে সেখানে একটি শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করেছে, যেটি একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প যার লক্ষ্য বেইজিং ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। কিরগিজস্তান-ভিত্তিক বিশ্লেষক ইলিয়া লোমাকিন এএফপিকে বলেন, রাশিয়া বলেছে, তারা মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে না, তবে ইউরোপসহ অন্যান্য শক্তির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ‘উপেক্ষা করা কঠিন’।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button