আন্তর্জাতিক

প্রশান্ত মহাসাগরে চারটি মাদকবাহী নৌকায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ১৪

প্রবাহ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরে চারটি মাদকবাহী নৌকায় হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪ জনকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। মেক্সিকোর নৌবাহিনী জানিয়েছে, এখনও একজন জীবিত রয়েছে, যাকে খুঁজে পাওয়া চেষ্টা চলছে। অ্যাকাপুলকো শহরের নিকটবর্তী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর বিবিসির। হেগসেথ বলেন, এই হামলাগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গত সোমবারের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নৌকাগুলোতে মাদক পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এই হামলার কারণে অঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে এবং বিশেষজ্ঞরা এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন কংগ্রেসের উভয় দল (ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান) প্রেসিডেন্টের এই ধরনের আদেশের ক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাম বলেন, ‘আমরা এই হামলাগুলোকে সমর্থন করি না। আমরা আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুসারে সবকিছু পরিচালিত চাই।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌবাহিনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হেগসেথের বক্তব্য অনুযায়ী, চারটি নৌকায় প্রথম হামলায় ৮ জন, পরবর্তী দুই হামলায় ৪ এবং ৩ জন নিহত হন। একজন ব্যক্তি বেঁচে গেছেন। মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। হামলার ভিডিওতে দেখা গেছে, নৌকাগুলো আগুনে ভস্মীভূত হচ্ছে। হেগসেথ বলেন, ‘দুই দশকের বেশি সময় আমরা অন্য দেশ রক্ষায় কাজ করেছি। এখন আমরা নিজের দেশ রক্ষায় কাজ করছি।’ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আন্তর্জাতিক সাগরে নৌকায় হামলা চালানোর তার বৈধ অধিকার রয়েছে, তবে তিনি আশা করছেন কংগ্রেসের অনুমতি নিয়ে স্থলভিত্তিক লক্ষ্যেও অভিযান চালাতে পারেন। আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সন্দেহভাজনদেরও যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়ার অধিকার রয়েছে। নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ মেরি এলেন ও’কনেল বলেন, ‘মাদক পাচার সন্দেহে কাউকে নির্বিচারে হত্যা করা অনেক বড় অপরাধ।’ কোলম্বিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাউরিসিও হারামিল্লো বলেছেন, এই হামলাগুলো ‘অযতœপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক আইনের বাইরে’ হয়েছে। তিনি বলেন, নৌকায় থাকা মানুষদের কোনো রক্ষা সুযোগ ছিল না এবং তাদের কোনো বিচার প্রক্রিয়া বা আদেশ দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button