খুলনা বিভাগে ৮ জেলায় একদিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ১৯০ : মৃত্যু ১
বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ছাড়াল ৩০৬৩২ : মৃত্যু ১১০
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগে ৮ জেলায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) একদিনে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ১৯০ জন এবং খুমেক হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। তার নাম মেহেরপুর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদুজ্জামান (৫০)। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫ জন এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছাড়ালো ৩০ হাজার ৬৩২ জন এবং মৃত্যু হয় ১১০ জনের।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে ৮ জেলায় নতুন করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৯০ জন এবং খুমেক হাসপাতালে একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। বিভাগের ৮ জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির মধ্যে খুলনায় ৩৭ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, যশোরে ৩২ জন, ঝিনাইদহে ৪ জন, মাগুরায় ২২ জন, নড়াইলে ১৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৩৬ ও মেহেরপুরে ১৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি ছাড়াল ৩০ হাজার ৬৩২ জন। এসময়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯ হাজার ২৯০ জন। ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ১১০ জনের। মারা যাওয়ার মধ্যে খুমেক হাসপাতালে ৩৫ জন, খুলনায় ২ জন, বাগেরহাটে ২ জন, সাতক্ষীরায় ১ জন, যশোরে ১৭ জন, মাগুরায় ৬ জন, কুষ্টিয়ায় ২৫ জন, ঝিনাইদহে ৯ জন, নড়াইলে ৫ জন, এবং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৮৬৮ জন এবং রেফার্ড করা হয় ৩৬৪ জনকে। খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় খুমেক হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২৫ জন। এ সময়ে মেহেরপুর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদুজ্জামান (৫০) নামে এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। একদিনে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬ জন। বর্তমানে ভর্তি আছে ১১৪ জন। এ পর্যন্ত খুমেক হাসপাতালে ৩৪৩২ জনকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৩২৮৩ জন এবং মৃত্যু হয় ৩৫ জনের । খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৩৭ জন। বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ৪৭ জন। এ পর্যন্ত খুলনা শহর ও উপজেলা মিলে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় ২৫২৮ জন এবং মৃত্যু হয় ২ জনের।