স্থানীয় সংবাদ

পরিত্যাক্ত ঘোষিত ভবনে চলছে অফিস কক্ষ ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাঠদান

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খালিশপুর গোয়ালখালী বাকশ্রবণ প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় পরিত্যাক্ত ঘোষণা করার পর চলছে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। পাশাপাশি শিক্ষকদের অফিসকক্ষ। আলাদা করে কোন আর কোন ভবণ না থাকায় বা নতুন করে ভবণ নির্মাণ না হওয়াই এখন বাধ্য হয়ে চলছে অফিস ও প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ৫৯ বছর আগে পাকিস্তান আমলে নির্মিত খুলনা বিভাগীয় বাক, শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের (পিএইচটি) সেন্টারে রয়েছে শিক্ষক সংকট। বিদ্যালয়ে পাঠদানরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কেউ দৃষ্টিহীন বা কেউ মুক-বধির তারা কিছু বলতে পারেনা, শুনতে পারে না দেখতেও পারেনা। গেল ২০১৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার ভবণটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। তবে পরিত্যক্ত ঘোষণার পরও কেটে গেছে আরও ৮ বছর। এছাড়া বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে মাত্র ৫ জন শিক্ষক আছে। যার মধ্যে দুই জন প্রশিক্ষণ শিক্ষক। পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মাত্র তিনজন শিক্ষক। মূলতঃ খুলনা বিভাগীয় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সাইন ভাষা শিক্ষা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীদের সাধারণ শিক্ষা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে আবাসিক অনাবাসিক থাকার ব্যবস্থা ও ভরণ পোষণ করা হয়। পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চিকিৎসা সেবা, খেলাধুলা, চিত্তবিনোদন ব্যবস্থা করা বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র ছাত্রীদের পুনর্বাসনসহ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে যে কোন সহযোগিতা করা। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসনে আর্থিক ভাবে, চাকুরী প্রদান মাধ্যমে বা তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সহযোগিতা করা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতি সহমর্মি আচরণ করা হয়। এবিষয়ে বাক, শ্রবণ ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এইচ, এম, সাজ্জাদ বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে যারা সকলে প্রতিবন্ধী। যার মধ্যে ২৬ জনের মত দৃষ্টি প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রী ও ৬৪ জনের মত বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধি ছাত্র ছাত্রীরা পাঠদান নিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য গেল বছর ১০৮ জনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ছিল। আমরা শিক্ষকসহ অন্যান্য জনবল বৃদ্ধির জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষর নিকট বেশ কয়েকবার চিঠি প্রেরণ করেছি। তবে এখনও পর্যন্ত কার্যকরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সরেজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলছে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা মূলক কার্যক্রম। এছাড়া ২য় তলায় প্রবেশদ্বারে বিদ্যালয়ের মুল অফিসের কার্যক্রম। দ্বিতীয় তলায় প্রতিবন্ধীদের শ্রেণী কক্ষ রয়েছে যেখানে নিয়মিত তাদেরকে পাঠদান করা হয়। এসব কক্ষে নেই জানালা। দরজা গুলো ফেটে গেছে, উপরে ছাদ ফাটা। তারপরও চলছে সকল কার্যক্রম। এবিষয়ে বাক, শ্রবণ প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ে পিএইচটি সেন্টরারের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী পরিচালক কাজী মোঃ আবিদ হাসান বলেন, সরকারীভাবে বিদ্যালয়ের ভবণটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা হয়েছে । তবে নতুন ভবণ বা বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এখনও এই কনডেম ঘোষণা করা ভবণে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম ও অফিস প্রশাসনিক সব কার্যক্রম। এবছর একনেকে নতুণ ভবণ নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়েছে। এখন ভিজিট হবে। আশা করি ২০২৪ সালে জানুয়ারী মধ্যে কার্যক্রম শুরু হবে। এত বিলম্ব হওয়ার মুল কারণ একনেকে অনুমোদন হলেও ২০১৭ সালে দরপত্র অনযায়ী টেন্ডার আহবান করলে কোন ঠিকাদার কাজ নিবে না। যে কারণে চলতি অর্থবছরে নিয়ম অনুয়ায়ী দরপত্র আহবান করবে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ভবণটি প্রথম পর্যাযে ৬ তলা হবে তবে দশ তলা পর্যন্ত করা হবে। পাশাপাশি আমাদের স্কুলে শিক্ষক রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button