স্থানীয় সংবাদ

ঝুকিঁপুর্ণ শিশু শ্রম প্রতিরোধ বড় বাধা পরিবার সম্মতিও দারিদ্রতা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ মোহাম্মাদ আজিজুল (১২) নিজে ইজিবাইক চালিয়ে ফেরী করে লাইট বিক্রি করছে। আর তার পিছনে বসে আছে মহাজনের আরেক কর্মচারী মোঃ চয়ন (৩৫)। প্রতিদিন ফেরী করে লাইট বিক্রিতে শিশু শ্রমিককে পারিশ্রমিক মাত্র দুইশ টাকা। প্রশ্ন করতে বলেন, এই ছেলেটির বাবা নেই থাকে দৌলতপুর থানাধীন পাবলা কারিকরপাড়া এলাকায়। যিনি এ্যালকোহল পান করে মারা গেছেন। আর মা বাসাবাড়ীতে কাজ করে। এছাড়া তার ছোট আরও ভাই বোন আছে। তার মা মূলতঃ জোর করে কাজে পাঠিয়েছে। আর পড়াশুনা এখন আর হয় না। তবে স্বীকার করছি তার কাজ বেশ ঝুঁকিপুর্ণ । আমরা মুল সড়কে যাই না। গ্রামের ভিতর অলিগলিতে যাই যেন কোন দূর্ঘটনা না হয়। এরকম সারা দেশে লাখ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। এ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর প্রধান সমন্বয়কারী ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোঃ খালিদ হোসেন এর সাথে তিনি বলেন, শিশু শ্রমের মুল কারণ হলো তার পরিবারের সম্মতি। একজন শিশু তখনই কাজে আসেন যখন তার পরিবারের সম্মতি থাকে যদি ও সংসারের অভাব অনটনের কারনে পরিবার কাজে পাঠায় শিশুদের। সে ক্ষেত্রে শুধু আইন করে বসে থাকলে হবেনা বা সরকার এর একার পক্ষে ও এই সংকট দুর করা অসম্ভব সে জন্য স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিকদের সচেতন ও শিশুদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। যেসকল শিশুদের শ্রম ছাড়া পরিবারের সংসার চালানো একেবারই অসম্ভব তাদের জন্য আর্থিক সহায়তা করা এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষর নিকট জমা দিয়ে বৃত্তি মুলক শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সাথে শিশু শ্রম আইনের কঠোর পদক্ষেপ থাকতে হবে। বাংলাদেশের কলকারখানা অধিপ্তরের ২০২২ সালে তথ্য মতে শিশু শ্রমে নিয়োজিত শিশুর সংখ্যা মোট ১,৭৭৬,০৯৭ জন এছাড়া ঝুঁকিপুর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু ১০৬৮ মিলিয়ন । এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় কল-কারখানা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, প্রায় সব শিশুরা অভিভাকদের সম্মতিতে কাজ কাজে আসে। আর তারা এমন কথা বলে যে আমাদের তাৎক্ষনিক ভাবে কিছু করার থাকে না । মূলতঃ ঝুকিপূর্ণ কাজ বলতে বোঝায় যেসব শিশুরা ট্যানারী, রপ্তানীমুখি চামড়াজাত দ্রব্য ও পাদুকা, শিল্প জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, সিল্ক, সিরামিক, কাচ, রপ্তানিমুখী শিল্পখাত, বিশেষ করে গার্মেন্টস ও চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ, আমরা বেশ কয়েকবার উদ্দ্যোগ নিয়েছি ঝুকিপুর্ণ শিশু শ্রম নিয়ন্ত্রণে ।এছাড়া অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button