স্থানীয় সংবাদ

তেলিগাতী বাইপাসে রাস্তার পাশের গাছ কাটায় পরিবেশ হুমকির মুখে

সাইফুল্লাহ তারেক, আটরা গিলাতলা প্রতিনিধি ঃ আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতী বাইপাস সড়কের সংযোগস্থল একটি প্রভাবশালী মহল এর সুবিধার জন্য রাস্তার পাশের গাছ কাটা হচ্ছে। এতে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। শতবর্ষী গাছগগুলো রক্ষা করা ও নতুন গাছ রোপণের তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। স্থানিয় বৃক্ষপ্রেমি ব্যাংকার ও তেলিগাতী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জাহিদ ইকবাল, নিজ উদ্যোগে খুলনার বিভিন্ন স্থানের মতো এ সড়কেও তালগাছ, বটগাছ সহ বিভিন্ন গাছ লাগান কিন্তু গত কয়েকদিনে তার লাগানো গাছ একে একে কেটে ফেলছেন একটি প্রভাবশালী মহল। ইতোমধ্যে গাছগুলোর ডালপালা কেটে উপড়ে ফেলা হয়েছে। এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক কামরুল , জানান, এ সড়কে গাড়ি চালাতে কখনোই ক্লান্তি ভর করতো না। প্রায় পুরো সড়কে শ’ শ গাছের ছায়া ছিল। অপরিচিত যে কেউ এখানে এলে বনের মাঝ দিয়ে তৈরি সড়ক ভেবে ভুল করতো। গাছ কাটার ফলে পুরো সড়ক প্রখর রোদে খা খা করছে। রোদের তাপে চালক-যাত্রী সবারই পুড়তে হচ্ছে। সড়কের দুই পাশের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, কারো ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য পরিবেশের ক্ষতি হোক সেটা ঠিক হবে না, ভারসাম্য রক্ষা হোক সেটাও তো দেখতে হবে। গাছ কাটার ফলে স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষুন্ন হবে। তারা সড়কের দুই পাশে দ্রুত নতুন গাছ রোপণের দাবি জানান। স্থানিয় ব্যবসায়ি কালাম শিকদার বলেন হুট করেই গাছ কেটে ফেলা যায়? একটি গাছ পরিণত হতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং একটি গাছের সাথে অনেক প্রাণির জীবনের অস্তিত্ব, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে গাছ কাটা বন্ধ রাখার দাবি জানান তিনি। তিনি আরও জানান, যশোর রোডের শতবর্ষী গাছগুলো কাটা শুরু হলে জনগনের প্রতিরোধে তা বন্ধ হয়েছিল। স্থানিয় পরিবেশ উন্নয়নকর্মীরা বলছেন নির্বিচারে অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে- কিন্তু দেখার বা বাধা দেওয়ার কেউ নেই। গাছ কাটার ফলে পরিবেশের যে কি পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তা পরিমাপ করা যাবে না। পুরনো গাছগুলো ছায়া দেয়, ফল দেয়, অক্সিজেন দেয়। অথচ সচেতন হয়ে পুরনো গাছ রক্ষা করার কথা কেউ ভাবেন না। তারা অতিদ্রত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিবেন বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button