রামপাল থেকে বটিয়াঘাটার চাঞ্চল্যকর গৃহবধু সালমা হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ৪

র্যাব ৬ এর ছায়া তদন্ত ও সফল অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ভান্ডারকোট গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধু সালমা বেগমকে হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামীসহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। গৃহবধু সালমাকে হত্যার বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং হত্যার সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান অব্যাহত রাখে। সেই ধারাবহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৪ নভেম্বর রাতে বাগেরহাট রামপালের বুজবুনিয়া গ্রামে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস দলের অভিযানে এরা ধরা পরে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এজাহারনামীয় ১নং আসামী বটিয়াঘাটা ভান্ডারকোট গ্রামের মোঃ হেমায়েত আকুঞ্জি(৫৫), তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম(৪৫), ছেলে মোঃ ইমরান আকুঞ্জি(২৭) ও মেয়ে আসমা বেগম(৩০)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা সবাই হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদেরকে বটিয়াঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাব ৬ সূত্র জানায়, ভিকটিম সালমা বেগম ও অভিযুক্ত আসামীরা একই পরিবারের সদস্য। ভিকটিম সালমা বেগমের সাথে আসামীদের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে ভিকটিম সালমার মেঝ মেয়ে লামিয়া মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে ভান্ডারকোট গ্রামে আসামী হেমায়েতের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আসামী ফাতেমা তাকে এলোপাতাড়িভাবে কিল, চড়, ঘুষি মারে। এরপর লামিয়া বাড়ি এসে তার মা ভিকটিম ফাতেমাকে ঘটনার বিষয় খুলে বলে। ওইদিন দুপুরেই ভিকটিম সালমা বেগম আসামী ফাতেমার কাছে মারপিট করার কারণ জিজ্ঞাসা করলে আসামীরা ভিকটিমকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ওই সময় আসামী হেমায়েত আকুঞ্জি ও আসামী আলাউদ্দিন সরদার কথা কাটাকাটির এক পর্যায় ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর সকল আসামীরা মিলে ভিকটিম সালমা বেগমকে এলোপাতাড়ি নাক, মুখ, বুকসহ সমস্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে চড়, কিল, ঘুষি মেরে বেদনাদায়ক ফোলা জখম করে। ওই সময় ভিকটিমের ডাক-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। বিষয়টি জানার পর ভিকটিমের স্বামী তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা গ্রহন করালেও ঘটনার ২দিন পর পেট ফুলে যাওয়াসহ পেটে ব্যাথা অনুভব করে। গত ৩ নভেম্বর সকালে ভিকটিমের পেট ফুলে যাওয়াসহ শ্বাসকষ্ট অনুভব হলে ভিকটমের স্বামী চিকিৎসার জন্য প্রথমে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেøক্সে নিয়ে যায়। এরপর ওই দিনই এ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় মেয়ে বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় এই হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।