খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি : ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টা৫মিনিটে কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবার সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সকলকে সালাম ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যে কেএমপি’র আইন-শৃঙ্খলা সন্তোষজনক থাকায় সকলকে ধন্যাবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অভিভাবক ইন্সপেক্টর জেনারেলকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। কারণ ইন্সপেক্টর জেনারেল অক্টোবর মাসে উদ্ধারজনিত ১৫টি ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেছেন। যা সংখ্যার দিক থেকে এ যাবৎ কালের মধ্যে এক মাসে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ প্রনোদণা। আইজিপি মহোদয়ের প্রদত্ত পুরষ্কার কেএমপি এর সকল অফিসার ফোর্সকে আরও উজ্জীবিত করবে বলে পুলিশ কমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, খুলনা মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহত সহ যানজট মুক্ত নগরী গড়তে কেএমপি বদ্ধপরিকর। এছাড়া, হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহের নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি আপরাধ সংঘটন ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। খুলনা এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এজন্য মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়াও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সকল গুরুত্বপূর্ণ মামলার ছায়া তদন্ত করবে। কেএমপির আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেতে হবে। চোর চক্রের ডাটাবেজ করতে হবে এবং চুরি বন্ধে নাইট গার্ডদের টহল পুলিশ সতর্ক করবে। ডিউটি কালীন সময়ে লাইট ও বাঁশি ব্যবহার করলে সিধেঁল চুরি বন্ধ হয়ে যাবে। অভিযোগগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। খুলনা মহানগরীতে মোটরসাইকেল চোরচক্র গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করেন। সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সকে ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে, কারো অনাকাঙ্খিত চলাফেরার কারণে যেন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের দুর্নাম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কেএমপিকে সবাই মিলে একটি চমৎকার গতিশীল ইউনিটে পরিণত করতে তৎপর আছেন মর্মে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক কবির হোসেন মাতুব্বর; গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক এস.কে লুৎফর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ ইমদাদুল হক, পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লা, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক কর্মকর্তা হিসেবে ট্রাফিক বিভাগ হতে পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) কাজী মোঃ নওসের ওসমান, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়ান্ত্র উদ্ধারকারী কার্মকর্তা হিসেবে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই(নিঃ) অনুপ কুমার ঘোষ; লবণচরা থানার এসআই(নিঃ) প্রদীপ বৈদ্য, খালিশপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ আবু-আল-বাশার, দৌলতপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ মিকাইল হোসাইন, শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোয়েন্দা বিভাগের এসআই(নিঃ) মোঃ মইজুল ইসলাম ইমন; খুলনা থানার এসআই(নিঃ) সঞ্জিত কর্মকার, এসআই(নিঃ) মোল্লা আব্দুল হাই, এসআই(নিঃ) মোঃ মামুন অর-রশিদ, সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই(নিঃ) সুমন মন্ডল; এসআই(নিঃ) সুকান্ত দাশ, লবণচরা থানার এস আই(নিঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান, এস আই(নিঃ) খান মোঃ তানজির হোসেন, হরিণটানা থানার এস আই(নিঃ) মোঃ মাসুম বিল্লাহ, খালিশপুর থানার এসআই(নিঃ) মোঃ আব্দুল হালিম, এসআই (নিঃ) রেজাওয়ানুজ্জামান; এস আই (নিঃ) ব্রজেন কুমার ঘোষ; আড়ংঘাটা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ লুৎফুল হায়দায়, খানাজাহান আলী থানার এস আই(নিঃ) অয়ন তীর্থ পাইক, এস আই(নিঃ) মোঃ ইসতিয়াক আহম্মেদ; গোয়েন্দা বিভাগের এস আই(নিঃ) মোঃ সেলিম হোসেন, এস আই(নিঃ) মোঃ সিরাজুল ইসলাম, এস আই(নিঃ) মোঃ শরিফুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং শাখার এসআই(নিঃ) রাসেল হোসাইন, সিটিএসবি সোনাডাঙ্গা জোনের এসআই(নিঃ) মোঃ ফারুক হোসেন, ট্রাফিক বিভাগের টিএসআই মোঃ ওবাইদুল্লাহ হক, প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই(নিঃ) মহসিনা আক্তার, আরসিডি শাখার এএসআই (নিঃ) মোঃ হাফিজুর রহমান; এএসআই(নিঃ) আবু সুফিয়ান মোল্লা, এএসআই(নিঃ) পলাশ মিত্রদের’কে অস্ত্র গুলি উদ্ধার ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং মাদক উদ্ধার, সিটিএসবি এএসআই(নিঃ) মোঃ হেলাল উদ্দিন, সিটিএসবির এএসআই (নিঃ) মোঃ আব্দুল রাজ্জাক, খুলনা থানার কনস্টেবল মোঃ আসাদুজ্জামান, গোয়েন্দা বিভাগের কনস্টেবল মোঃ মনিরুল ইসলাম কনস্টেবল মোঃ এস. কে আনিছুর রহামন, প্রসিকিউশন বিভাগের কনস্টেবল আব্দুল হামিদ খান; এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টনের কনস্টেবল মোঃ আল মামুন, অপরাধ শাখার কনস্টেবল মোঃ ওমর ফারুক, আরসিডি শাখার কনস্টেবল নাঈমুর রহমান; আইসিটি শাখার কনস্টেবল কামরুজ্জামান জিকু; ইলেকট্রিশিয়ান কনস্টেবল মোল্লা জয়নাল আবেদীন, এসএএফ শাখার কনস্টেবল মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, এসএএফ শাখার এএসআই (সঃ) আব্দুল কাদের শেখ; সিটিএসবির কনস্টেবল মোঃ নূর আলম, এসএএফ শাখার কনস্টেবল মোঃ ওয়াসিম আলী, এসএএফ শাখার কনস্টেবল মোঃ ইমন মল্লিক, ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মোঃ জসীম উদ্দিন শেখ, এসএএফ শাখার কনস্টেবল মোঃ মাহমুদুল হোসেন-সহ সঠিকভাবে অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট প্রদান করেন। কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, নারী নির্যাতন, চুরি এবং সাইবার সংক্রান্ত মামলার তদন্তের অগ্রগতি, ওয়ারেন্ট তামিলের পরিসংখ্যান, থানায় মামলা রজু ও নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান, সাজা ও খালাস মামলার পরিসংখ্যান পর্যালোচনাসহ সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের মূলতবী মামলা সমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, অস্ত্র উদ্ধার, জঙ্গি গ্রেফতার, ওয়ারেন্ট তামিল হার বাড়ানো, আগ্নেয়াস্ত্র চেকিং এবং মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সততা ও স্বচ্ছতার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিদেরকে মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ফোর্সের চেইন অব কমান্ড এবং ডিসিপ্লিন ঠিক রাখতে ব্রিফিং করার জন্য দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।” আজকের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন-সহ ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।