শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় কেএমপি’র কমিশনার

খবর বিজ্ঞপ্তি : ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা৫ মিনিটে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনার সম্মেলন কক্ষে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ মহোদয় এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা উপস্থিত ছিলেন। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রদান করেন। তিনি বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ইতিহাসের মহানয়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতার শত্রু কতিপয় ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। একই সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এই দেশেীয় দের নিয়ে দেশের গঠন করেছিল রাজাকার, আলবদর-আলশামস বাহিনী। এদেশের মানুষকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী চিনতোনা, তাদের দোসর রাজাকার, আলবদর-আলশামস বাহিনীর মাধ্যমে তারা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরী করে। এদেশকে মেধাশূন্য করার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাধীনতা হলেও যাতে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ষড়ন্ত্রকারীরা তালিকা অনুযায়ী এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, শিক্ষক, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং বুদ্ধিজীবীদেরকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে তাদের চোখ বেঁধে রাইফেলের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে এবং গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি এদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে এখনো সক্রিয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং ৩০ লক্ষ শহিদের স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, কুসংস্কারমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুখী-সমৃদ্ধ নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে সেই সকল অপশক্তিকে প্রতিহত করতে আমরা সকলে বদ্ধপরিকর।’ এসময় আলোচনা সভায় খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব খন্দকার ইয়াসির আরেফীন সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মঈনুল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম; খুলনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিপিএম-সেবা; খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির; খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সরদার মাহবুবার রহমান এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব এস এম নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।