পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় বাজারে অপরিপক্ক পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ বাজারে পেঁয়াজের দাম কমলেও কৃষকেরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় এখন অপরিপক্ক পেঁয়াজ উঠাতে শুরু করেছেন। মূলতঃ হঠাৎ পেঁয়াজে আকাশ ছোঁয়া দাম। ভারত পেঁয়াজ আমদানি করছেনা। দেশীয় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়িরা শুরু করে পেয়াজ সিন্ডিকেট। আর এতে করে পেঁয়াজ কেজি প্রতি এক লাফে ১শ টাকার পেঁয়াজ ৩শ টাকায়। যে কারণে নড়েচড়ে বসে সরকার, শুরু হয় ভোক্তা অধিকারে অভিযান। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অভিযানে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। পাশাপাশি বাজারে আসতে শুরু করে নতুন উৎপাদিত পেঁয়াজ। তবে অধিকাংশ পেঁয়াজগুলো অপরিপক্ক। মূলতঃ এখন বাজারে পেঁয়াজের দাম চড়া আছে। আর সামনের দিন গুলোতে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে। যে কারণে যার যেমন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। যতটুকু পারছে পেঁয়াজ উঠিয়ে ফেলছে। এখন দাম বেশি থাকায়। সরেজমিনে নগরীর অধিকাংশ বাজার ও আড়ৎ ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ পেঁয়াজ এখনও অপরিপক্ক আছে। এসব পেঁয়াজ গুলো আরও কিছুদিন পরে উঠলে হয়তো আরও বেশি পরিপক্ক হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাজারে নতুন পেয়াজ গুলো এখনও সম্পুর্ণ পরিপক্ক হয়নি। এখন খুচরা বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশী পড়তান পেঁয়াজ এখন ও ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় আর ভালো দাম থাকায় পেঁয়াজের আবাদে পেঁয়াজ উঠানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শুধু আমি একা না আমার মত আরও অনেকে আছেন অপরিপক্ক আর ছোট পেঁয়াজ উঠিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া এখন দাম বেশি থাকলেও সেই দাম সরাসরি কৃষকেরা পাচ্ছে। এখানে কোন অসাধু ব্যাবসায়িরা সিন্ডিকেট তৈরি করতে পারছে না। আর সামনের দিনে পেঁয়াজ বড় হলেও এত দাম থাকবে না। এখন সরাসরি নতুন পেঁয়াজের মণ বিক্রি হচ্ছে ৩৫শ থেকে ৪ হাজার টাকা প্রতি মণ। এছাড়া কৃষক হিসেবে বলব আমরা নতুন পেঁয়াজ ক্রয় করব কৃষকের মুখে হাসি ফোটাবো। আর নতুন পেঁয়াজ ক্রয় করলে অবশ্যই পুরাতন পেঁয়াজ সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাবে। এ বিষয়ে খুলনা গল্লামারী এলাকায় বাজারে ব্যবসায়ি হাসেম বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরও কমবে। তখন আর পুরাতন পেঁয়াজের কোন মূল্য থাকবে না। বাজারে এখন অপরিপ্ক্ক পেঁয়াজ আসছে তবে সব পেঁয়াজ অপরিপ্ক্ক না।