স্থানীয় সংবাদ

বাংলাদেশকে মেধা শুন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানীরা বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করেছিল

৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় এস এম কামাল

স্টাফ রিপোর্টার ঃ ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নতুন রাস্তা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দাউদ মার্কেট চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন খুলনা ৩ আসন থেকে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তরফদার মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল মিলনের সঞ্চালনায়। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেসিসি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন,চ্যালেঞ্জ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে জনগণের অংশগ্রহণ মুলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে। জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখকে উজ্জ্বল করতে আমাদের সকলকে ভোট কন্দ্রে গিয়ে ৫০থেকে ৬০% ভোট প্রদান করে বিশ্বের কাছে শেখ হাসিনার মুখকে উজ্জ্বল করতে হবে। তাই আমরা ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সকলে আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আটটার মধ্যে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করে খুলনা ৩ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনকে বিজয় করে শেখ হাসিনার মুখকে উজ্জল করতে হবে। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা খুলনা ৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতা কামাল হোসেন বলেন,ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস এই মাসে ১৯৭১ সালেই ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভাব্যের বিনিময় এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল আর তখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন।পাকিস্তানের দোসর আল বদর,আল শামস রাজাকাররা বুঝতে পেরেছিলেন তাই দেশকে মেধা শুন্য করতে বিজয়ের দুইদিন পূর্বে ডাক্তার,সাংবাদিক ও শিক্ষক সহ বিভিন্ন মেধা সম্পূর্ণ ব্যক্তিদেরকে বেছে বেছে নিয়ে রায়ের বাজারে হত্যা করা হয়েছিল।আল্লাহর রহমাত আছে বলে বাঙ্গালীদের দাবী রাখতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, যারা দলের দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে দল আজ সুসংগঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পুরণে আমি রাজনীতি করি। তিনি আরো বলেন,আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। শেখ হাসিনা আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন মানুষের পাশে থেকে কাজ করার জন্য। আমি সারা দেশে রাজনীতি করি। আমি রাজনীতি করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণের জন্য। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার খাদেম হয়ে আপনাদের পাশে থেকে চাঁদাবাজ আর মাদকমুক্ত,ভুমি দস্যুতা মুক্ত করবো ইনশাল্লাহ। আমার কোন সন্তান বা আত্মীয় স্বজন এখানে তদবির করতে আসবে না। নির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যেই এর বাস্তবায়ন আপনারা দেখতে পাবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ও মুক্তিযোদ্ধা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ,দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী,বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য সাংবাদিক মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বন্দ, মনিরুজ্জামান খান খোকন,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশারফ হোসেন, কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলী, এস এম নুরুল হক নুরু,মিজানুর রহমান মির্জা,এস এম আব্দুল হক,এফএম সাইফুজ্জামান মুকুল, মাহফুজা শাহাবুদ্দিন, হেলাল মুন্সী, শাহ ওয়াজেদ আলী মজনু,কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স,কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু, কাউন্সিলর সংরক্ষিত সাহিদা বেগম,৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ কাওসার আলী, হারুন অর রশিদ,শেখ অহিদুজ্জামান অহিদ,শরিফুল ইসলাম খোকা, শেখ আব্দুল হামিদ,হেলাল মুন্সী, হাসিবুল হাসান, অগ্রণী ব্যাংক সিবিএ নেতা আব্দুর রহমান মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশারফ হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হোসেন, শেখ মনজুরুল হাসান, জেসমিন সুলতানা, মিতা বাগচী,বিনু ইসলাম, বিশ্বাস, দৌলতপুর কলেজের অধ্যক্ষ এস এম আনিসুর রহমান ও উপাধ্যক্ষ সদরুজ্জামান সবুর, আবু বক্কার মাস্টার, জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন দিল,বাচ্চু মোড়ল, মিজানুর রহমান মিজান আমিনুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, জামাল হোসেন, আসলাম মোড়ল, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, আসলাম বিশ্বাস,ইবাদ মোড়ল, শেখ জিহাদ, আব্দুল আউয়াল সহ সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button