স্থানীয় সংবাদ

সংসদ নির্বাচনে যশোরে ৩১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ

মোঃ মোকাদ্দেছুর রহমান রকি যশোর থেকে ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে ৩১জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০ টা থেকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ শুরু করেন। দলীয় প্রতিকের পাশাপাশি প্রার্থীদের মধ্যে পছন্দের প্রতিক বরাদ্দ করা হয়েছে ।
যশোর-১ (শার্শা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত শেখ আফিল উদ্দিনকে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল আলম লিটনকে ট্রাক, জাতীয় পার্টির মোঃ আক্তারুজ্জামানকে লাঙ্গল, যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলামকে ট্রাক, এসএম হাবিবুর রহমানকে ঈগল, জাতীয় পার্টির মুফতি ফিরোজ শাহকে লাঙ্গল, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়ালকে ডাব, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো: শামছুল হককে টেলিভিশন। যশোর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত কাজী নাবিল আহমেদকে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথকে ঈগল, জাতীয় পার্র্টির অ্যাডভোকেট মাহাবুব আলম বাচ্চুকে লাঙ্গল, বিকল্পধারার মোঃ মারুফ হাসান কাজলকে কুলা, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির সুমন কুমার রায়কে আম, বিএনএমের শেখ নুরুজ্জামানকে নোঙর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মাদ তৌহিদুজ্জামানকে বটগাছ, তৃণমূল বিএনপির মো: কামরুজ্জামানকে সোনালী আঁশ, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায়কে ঈগল, জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট জহুরুল হককে লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির লে কর্নেল (অবঃ) এম সাব্বির আহমেদকে সোনালী আঁশ, বিএনএমের সুকৃতি কুমার মন্ডলকে নোঙর, ইসলামী ঐক্যজোটের ইউনুস আলীকে মিনার, যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্য্যকে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীকে ঈগল, জাতীয় পার্টির এম এ হালিমকে লাঙ্গল, ইসলামী ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসীকে মিনার, তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফাকে সোনালী আঁশ, যশোর -৬ (কেশবপুর) আসনে আওয়ামী লীগের শাহীন চাকলাদারকে নৌকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচএম আমীর হোসেনকে কাঁচি, আজিজুল ইসলামকে ঈগল ও জাতীয় পার্টির জিএম হাসানকে (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতিক বরাদ্দ নিয়ে প্রার্থীরা বলেন, সোমবার ১৮ ডিসেম্বর থেকে তারা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন। জনগণের মধ্যে তাদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। একটি সুষ্ঠু সুন্দর ভোট হলে তারা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে জাতীয় পার্টিও প্রার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে। সেটা না হলে মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তারা।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, বৈধ ৩১ প্রার্থীর মধ্যে ২৩জন ছিলেন দলীয় প্রার্থী। এছাড়া ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। দলীয় প্রতিকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পছন্দের প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সব প্রার্থীকেই সমান গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে যশোর পুলিশ বদ্ধ পরিকর।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button