স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাটে চোর চক্রের প্রধানসহ ৯ জন গ্রেফতার

পিবিআই’র অভিযান

২টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধারসহ চোরাই কাজে ব্যবহ্নত একটি প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল জব্দ

বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই) বাগেরহাটের একটি চৌকশ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ২ টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধারসহ র‌্যাবের অফিসার পরিচয়ে ইজিবাইক চোর চক্রের প্রধানসহ ৯ জন কে গ্রেফতার করেছে। এ সময় চোর চক্রের ব্যবহ্নত একটি প্রাইভেট কার ও মোটর সাইকেল ও চেতনানাশক ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে পিবিআই বাগেরহাট জেলা কার্য্যলয়ে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মোঃ আবদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, র‌্যাব পরিচয়ে ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করাসহ ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, চেতনা নাশক ঔষধ, মোটরসাইকেলের ভুয়া ব্লু বুক, নগদ টাকা ও দুটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে আটককৃদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে পটুয়াখালীর বাউফল ঢাকা, ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই ছিনতাইকারীদের আটক করে পিবিআই, বাগেরহাটের সদস্যরা। আটককৃতরা হলো, মোঃ আঃ কাদের, র‌্যাবের অফিসার পরিচয়দানকারী মোঃ বসির উদ্দিন ওরফে সাগর, মোঃ মহিউদ্দিন, ডালিম, মোঃ ইমরান মোল্লা ওরফে ইমন, মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে চাঁন মিয়া সিকদার, বাচ্চু, মোঃ আমির ফকির ও রসুল আমিন এদের বাড়ি গোপালগঞ্জ, ঢাকা নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায়। ৭ ডিসেম্বর পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ইজিবাইক চালক আলম হাওলাদার। এ সময় নিজেকে পরিচয় দিয়ে মোঃ বসির উদ্দিন ওরফে সাগর নামের এক ব্যক্তি আলমের ইজিবাইকে ওঠেন। পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে আলমকে বাগেরহাটের কচুয়া থানার বাধাল বাজার সংলগ্ন মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সীমান্তের একটি সড়কে প্রবেশ করেন। সেখানে ওৎপেতে থাকা বাচ্চু এসে বসির উদ্দিনকে বলে তার মোটরসাইকেল পুলিশ আটক করেছে। তখন বসির বলে কাগজ নিয়ে আয়। বাচ্চু আবার কাগজ আনতে বাড়ি যায়। বাচ্চুর আসতে দেড়ি হওয়ায় বসির ইজিবাইক চালক আলমকে বলে তুমি বাচ্চুর বাড়ি গিয়ে বল যেন ব্লু বুক নিয়ে আসতে। আলম বাচ্চুর বাড়ি গেলে, চোর চক্রর আরেক সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে চান মিয়া সিকদার ইজিবাইকের তার কেটে লাইন সচল করে ইজিবাইক নিয়ে গোপালগঞ্জে চলে যায়। পরবর্তীতে ইজিবাইকটিকে প্রথমে ৬০ হাজার টাকায় এবং পরে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে চোর চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ইজিবাইক চালক আলম হাওলাদার বাদী মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেন। পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহমান আরো বলেন, ইজিবাইক চালক আলমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে চোর চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তারা নিজেদেরকে র‌্যাব পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি নানা কৌশলে চাকলের সাথে সম্পর্ক ভাল করতেন। জুসের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করতো। আলমের ইজিবাইক অনুসন্ধ্যান করতে গিয়ে আমরা আরো একটি ইজিবাইক চুরির ঘটনা উদঘাটন করি। জুসের সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে চালককে খাইয়ে ওই ইজিবাইকটি ছিনতাই করেছিল এই চোর চক্রের সদস্যরা। ইজিবাইক ও ব্যাটারির ভ্যান চালকদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, অপরিচিত ও দূরের যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে পরিচয় যাচাইয়ের চেষ্টা করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, যাত্রীদের ছবি নিকট আত্মীয়দের মুঠে ফোনে পাঠিয়ে রাখার অনুরোধ করেন তিনি। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের কাছে ভ্যান ও ইজিবাইক না দেওয়ারও অনুরোধ করেন তিনি।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button