খুলনায় ৩টি আসনে স্বতন্ত্ররা প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় নানা জল্পনা-কল্পনা
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
বিব্রত ও কিছুটা চিন্তার ছাপ ৩টি আসনের নৌকার প্রার্থীদের চোখে-মুখে
মুহাম্মদ নূরুজ্জামান : খুলনার তিনটি আসনে স্বতন্ত্র’রা প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় আওয়ামীলীগের একাংশের নেতারা মিষ্টিমুখ করেছেন। এতে করে শাসক দল মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। মঙ্গলবার দলের জেলা শাখার বর্ধিত সভায় নৌকার প্রার্থীরা এসব কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা শাখার সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। আলোচনায় অংশ নেন জেলা সম্পাদক এডভোকেট সুজিত অধিকারী, সংসদ সদস্য প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, রশিদুজ্জামান মোড়ল, মোল্লা আকরাম হোসেন প্রমূখ। সভায় বক্তারা উল্লেখ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা না থাকলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে। আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আদালতের রায়ে স্বতন্ত্ররা প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা মিষ্টিমুখ করেছেন। তিনি বলেন, এ সংবাদ শুনে আমি বিব্রতবোধ করেছি। সভায় অবহিত করা হয়, দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের কোন প্রার্থীর পক্ষে ভোটদানে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উৎসাহিত করতে হবে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয়, খুলনা-১ আসনে প্রশান্ত কুমার, খুলনা-৪ আসনে এসএম মোর্তজা রশিদী দারা এবং খুলনা-৬ আসনে দলের জেলা শাখার কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এ খবরের পর পাইকগাছা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থনে মটর শোভাযাত্রা বের হয়। কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এর বিপরীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের অবস্থান। খুলনা-৪ আসনে প্রয়াত সংসদ সদস্য মোস্তফা রশিদী সুজার অনুসারীরা দলের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এ আসনে তার সহোদর মোর্তজা রশিদী দারা স্বতন্ত্র প্রার্থী। সাবেক সংসদ সদস্য মোল্লা জালাল উদ্দিন, জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, আইজগাতি ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল জামান বাবুল, নৈহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বুলবুল ও দিঘলিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোল্লা আকরাম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। দলের অপর একটি সূত্র বলেছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জেলা শাখার এক শীর্ষ নেতা ও একজন সাবেক ছাত্রনেতা শ্রীফলতলা ও ঘাটভোগ ইউনিয়ন পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের অভিমত, উল্লেখিত এলাকায় শাসকদলের প্রার্থীর জনসমর্থন শূন্যের কোঠায়।