ভাই ও ভাবীর হাতে বোন জখমের ঘটনায় ভাই গ্রেফতার
যশোর ব্যুরো : জমাজমি বিষয় নিয়ে আপন ভাই ও ভাবীর ধারালো দা সাবলের আঘাতে মোসাঃ ফাতিমা খাতুন (৪০) গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় ভাই,ভাবীর বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ সন্ত্রাসী ভাই ফিরোজ আলীকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার সুজলপুর গ্রামে। ওই গ্রামের মৃত সুলতান মোল্লার মেয়ে মামলার বাদি মোসাঃ ফাতিমা খাতুন সোমবার ২৫ ডিসেম্বর রাতে কোতয়ালি থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেন, ফিরোজ আলী তার আপন ভাই ও মোসাঃ সাহিদা বেগম তার ভাবী। গত ২৩ ডিসেম্বর বিকেল অনুমান ৪ টার সময় জমিজমির বিষয়াদি নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীদ্বয় হাতে ধারালো দা, লোহার সাবল নিয়ে বাদির ঘরের মধ্যে ঢুকে খুন করার উদ্দেশ্যে ভাই ফিরোজ আলী মাথায় ধারালো দা দিয়ে কোপাতে থাকলে বাদি ডান হাত দিয়ে ঠেকালে উক্ত কোপ মাথার মাঝখানে ও ডান হাতের পাতায় লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ভাবী সাহিদা বেগম লোহার সাবল দিয়ে বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার ডান পাশের্^ কপালে এবং বাম কানে আঘাত কওে গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ভাই ফিরোজ আলী সাবল দিয়ে বাদিও সমস্ত শরীওে পিটালে বাদির বাম হাতের কেনুর নীচে লেগে হাড় ভাঙ্গা জখমসহ বিভিন্নস্থানে জখম হয়। বাদির ডাক চিৎকারে পাশর্^বর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে বাদিকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যায়। বাদির অবস্থা আশংকা জনক দেখে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাদি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহার নামীয় আসামী ফিরোজ আলীকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে।