এলজিইডিতে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান প্রকৌশলী

প্রকল্পের দু’পাশে সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কের পাশে বৃক্ষরোপন করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টারঃ এখন থেকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিডি) আওতায় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে গাছ রোপন কার্যক্রম শুরু করেতে হবে। একই সাথে প্রকল্পের উভয় পার্শ্বে প্রকল্পের নাম, অর্থের পরিমাণ, কাজের শুরু ও শেষ সময় এবং নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর নাম মোবাইল নাম্বারসহ সাইনবোর্ড স্থাপন করতে হবে। বুধবার বিকেল ৩টায় এলজিডি খুলনার আয়োজনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার ১.৩ কার্যক্রম অনুযায়ী সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে ভার্চুয়াল সভায় এলজিডির প্রধান প্রকৌশলী এসব দিক নির্দেশনা দেন। সভায় খুলনায় নেতৃত্ব দেন এলজিডি খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান। এ সময় অংশ নেন দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাসুদ মাহমুদসহ বরিশাল বিভাগের প্রতি জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীবৃন্দ, ঠিকাদার বৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা। কাজের গুনাগত মান বৃদ্ধিসহ নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আকতার হোসেন। প্রধান প্রকৌশলী বলেন, যেসব জেলার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। সেসব প্রকল্পের ঠিকাদাররা যে কোন উপায়ে কাজ শেষ করতে হবে। বাজার দরের সাথে সমন্বয় করে ওই কাজের ঠিকাদার বিল করার কোন সুযোগ নেই। যে চুক্তি অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে সেই মতে কাজ শেষ করতে হবে। অবকাঠামো বা সড়ক নির্মাণের কাচামালের দাম বাড়লেও করার কিছু নেই। লোকসান দিয়ে হলেও কাজ শেষ করতে হবে ঠিকাদারকে। তা না হলে কাজ বাতিল করতে হবে। এর বাইরে আর কিছু করার নেই বলে তিনি সভায় জানান। সাতক্ষীরা জেলার কাজ মান নিয়ে তিনি সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে সড়কের পাশে বৃক্ষরোপন কার্য়ক্রম পরিচালনার জন্য খুলনার প্রস্তাব তিনি সাদরে গ্রহণ করেন।