খুলনায় সমবায় কর্মকর্তা গোপীনাথের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ
স্টাফ রিপোর্টার ঃ উন্নত জাতের গাভী পালনের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ঋণের আদায়কৃত ৩৮ লাখ ৯ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের ফেসিলিটেটর ও কৃত্রিম প্রজননকারী গোপীনাথ রায়ের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বুধবার মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মুহা. অহিদুর রহমান। গোপীনাথ রায় বটিয়াঘাটা উপজেলার সুকদাড়ার তিতুখালী গ্রামের কৃষ্ণ পদ রায়ের ছেলে। মামলার বাদি মুহা. অহিদুর রহমান বলেন, অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যাংকে জমা না দিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করায় দ-বিধির ৪০৯/২০১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর আগে এ বিষয়ে বটিয়াঘাটায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় আইনি পদক্ষেপের জন্য খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় প্রেরণ করেন। মামলার বিবরণে জানা যায় ‘ছয়ঘরিয়া দুগ্ধ উৎপাদনকারী নারী উন্নয়ন সমবায় সমিতি’ ও ‘চক্রাখালী দুগ্ধ উৎপাদনকারী নারী উন্নয়ন সমবায় সমিতি’ এর সদস্যদের নিকট থেকে আদায় রশিদ ও গ্রাহকের পাসবইতে স্বাক্ষর প্রদান পূর্বক ঋণের কিস্তি ও সার্ভিস চার্জ বাবদ মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৯ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করেন। আদায়কৃত অর্থের মধ্যে তিনি সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বটিয়াঘাটা শাখায় পরিচালিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৬৬ লাখ ৫৬৮ টাকা জমা করেন। অবশিষ্ট ৩৮ লাখ ৯ হাজার ৩৩২ টাকা তিনি নিজে লাভবান হওয়ার অসাধু উদ্দেশ্যে ব্যাংকে জমা না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। যা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক বিভিন্ন রেকর্ডপত্র যেমন- ক্যাশবই, ঋণ বিতরণ রেজিষ্টার, আদায় রশিদ, ব্যাংক জমার স্লিপ, জরুরি নথিপত্র এবং প্রকল্প হস্তান্তরের কাগজপত্র অপসারণ করেছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামি গোপীনাথ রায় এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া মামলা তদন্তকালীন অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের ও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।