শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে কার্গো ডুবি : ১২ নাবিক উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনের শিপসা নদীতে ১ হাজার ৪২২ টন ফ্লাইএ্যাশ বোঝাই একটি লাইটার জাহাজ শুক্রবার ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। জাহাজে থাকা ১২ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে নলিয়ান নৌ থানা পুলিশ। এদিকে, এ কার্গো জাহাজ ডুবিতে বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল রুটে নৌযান চলাচল বিঘিœত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর)দুপুরে এমভি গায়েহেরা -৪ নামক ওই লাইটার জাহাজটি তলাফেটে নদীতে ডুবে যায়। নলিয়ান নৌ থানার পুলিশ পরিদর্শক তারক চন্দ্র নাথ বলেন , এমভি গায়েহেরা -৪ নামক লাইটার জাহাজটি শিপসা নদীর নলিয়ান এলাকায় ডুবোচরে আটকা পড়ে। খবর পেয়ে তিনিসহ নৌ পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে লাইটারের নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছে।শিবসা নদীতে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ডুবে যাওয়া লাইটারটি ভারতের ভজভজ এলাকা থেকে ১৪২২ মেট্রিকটন ফ্লাইএ্যাশ (সিমেন্টর কাঁচামাল) বোঝাই করে বাংলাদেশের ঘোড়াশাল এলাকায় অবস্থিত একটি সিমেন্ট কারখানায় যাচ্ছিল। বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন’র মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মোঃ মাঈনুল হোসেন মিন্টু জানান, ভারতের হলদিয়া বন্দর থেকে ১হাজার ৪২২মেট্টিক টন ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করে এম,ভি ‘গারোহেরা’ সুন্দরবনের আন্টিহারা নৌপথ দিয়ে মোংলার উদ্দেশ্যে আসছিলো। পথিমধ্যে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে সুন্দরবনের শিবসা নদীর (খুলনা) নলিয়ান এলাকায় পৌঁছালে জাহাজটি ডুবে চরে আটকে একদিকে কাত হয়ে যায়। পরে তলা ফেঁটে ঘটনাস্থালে ডুবে যায় জাহাজটি। দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে থাকা ১২জন স্টাফ-কর্মচারী সাতরিয়ে কুলে উঠে যান। ভারত থেকে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই এ জাহাজটি মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে আসছিলো। এদিকে, এ কার্গো জাহাজ ডুবিতে বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল রুটে নৌযান চলাচল বিঘিœত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানান লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা মাঈনুল ইসলাম মিন্টু।