বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ানকে স্নেহ করতেন

দৌলতপুরে শহীদ আবু সুফিয়ানের স্মরণ সভায় সিটি মেয়র
এম রুহুল আমিন ঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ান বীর প্রতীকের ৫১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে দৌলতপুর বেবি ট্যাক্সি স্ট্যন্ডে স্বরন সভা অনুষ্টিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক। স্বরন সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদের সহধর্মিনী শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী প্রখ্যাত শ্রমিক নেত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি । স্মরন সভায় সম্মানীত অতিথী ছিলেন খুলনা-৩ আসনের শেখ হাসিনা মনোনীত সংসদ সদস্য প্রাথী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। শহীদের শাহাদাত বার্ষিকী পালনে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিজেএ’র চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলী। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ানকে স্নেহ করতেন। তিনি দুঃসময়ে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যে সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একমাত্র শক্তি ছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ অত্যন্ত শক্তিশালী একটি সংগঠন ছিল। বঙ্গবন্ধু শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ান কে ডেকে জার্মানির রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠাতে চেয়ে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন আমি এই ৪০ লক্ষ শ্রমিকদের রেখে আমি রাষ্ট্রদূত হয়ে যাব না। তিনি শুধু শ্রমিক রাজনীতি করেননি তিনি এ অঞ্চলের মানুষকে সুশিক্ষিত করার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তার নিজের হাতে গড়া দুইটি কলেজ আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যার একটি সরকারি মহাসিন কলেজ ও দৌলতপুর দিবা নৈশ কলেজ।আজ শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের সহধর্মিনী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান তার অসমাপ্ত কাজ করছেন। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের হৃদয়ে স্থান করা এই নেতা প্রায় ৪২টি ট্রেড ইউনিয়নের কোনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবার কোনটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সব সময় সচেষ্ট ছিলেন তিনি। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে অধ্যাপক আবু সুফিয়ানের মত ত্যাগী নেতাদের আদর্শকে স্মরণ করে শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের রাজনীতি করার আহবান জানান। সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় খুলনা-৩ নৌকার মাঝি এস এম কামাল হোসেন বলেন,শহীদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। তিনি সৎ, সদালাপী ও অত্যন্ত ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। অধ্যাপক আবু সুফিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও দেশের কল্যাণে এবং শ্রমিক সমাজের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। ১৯৬৯ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণ এবং অধিকার আদায়ের লক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ গঠন করার পর সারা বাংলাদেশের যে কয়জন শ্রমিক দরদী মানুষকে ডেকে শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, বীর প্রতিক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহিদ অধ্যাপক আবু সুফিয়ান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তারপর থেকে তিনি নিজেকে শ্রমিক সমাজের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে প্রমান করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশারেফ হোসেন, মনিরুজ্জামান খান খোকন,৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মাদ আলী, এম এ সেলিম, , শাহিন জামাল পন, এস এম নুরুল হক নুরু,শেখ সরোয়ার হোসেন,শরিফুল ইসলাম খোকা,শেখ আশরাফুজ্জামান খোকন, আলহাজ্ব শাহাবুদ্দিন,কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহম্মেদ প্রিন্স, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, মনিরা আক্তার, পারভিন আক্তার, শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন, হাবিবুর রহমান দুলাল,মিজানুর রহমান তরফদার মিজা,এফ এম সাইফুজ্জামান মুকুল, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল কাদের মাষ্টার, আকাংখা গ্র্রুপর চেয়ারম্যান শেখ মাহাবুব রহমান,হেলাল মুন্সি, শেখ আঃ হামীদ, নেতা আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন,হাবিবুর রহমান দুলাল,আব্দুর রহমান মোল্লা, শেখ কওছার আলী, আবুল হোসেন কার্ফু , প্রধান শিক্ষক শহিদুর ইসলাম জোয়াদ্দার, মুহসিন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আব্দুর রউফ মোড়ল, মনিরুল ইসলাম তরফদার, আছিফ উর রশিদ আছিফ, শেখ মফিজুর রহমান হিরু, মফিজুর রহমান জিবলু মোড়ল, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন মিনা, আবু জাফর হাওলাদার ,মাকসুদ হাসান পিকু, হারুন-অর-রশিদ, দৌলতপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম, জাফর ইকবাল মিলন ,শাহ ওয়াজেদ আলী মজনু,হেলাল মুন্সি,রানা পারভেজ সোহেল, দেবব্রত দেবু,আজিজ হাসান অশ্রু, মিতা বাগচী,ফারহানা পারভেজ নিপু,বিনু ইসলাম, আঃ জলিল হাওলাদার, এম রুহুল আমিন, ইমাম হোসেন রুবেল, জামিরুল ইসলাম বন্দ, আবুল হেসেন, শরীফ শাকিল,খন্দকার কামরুল হাসান,মিজানুর রহমান মিলটন ,শাহাআলম মাতুব্বর, আলী আকবর মুন্সি, কাজী ইব্রাহীম মার্শাল,বাচ্চু মোড়ল,সুমন দাস,মহিউদ্দিন রাজু,মাসুদ প্রধান,নজরুল ইসলাম, বিএল কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব মোড়ল, নিশাত ফেরদৌস অনি,মোঃ মামুন,ইব্রাহীম বন্দসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।