খুলনায় এবার ‘কুকুর’ হত্যার অভিযোগ থানায়

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনায় এবার দিবালোকে পিটিয়ে কুকুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণের কাছে কুকুর হত্যা মামুলি হলেও এবারের ঘটনা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ানোয় আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ফলে নতুন বছরের প্রথম দিনই আলোচনার প্রসঙ্গ সেই ‘কুকুর’।
জানা গেছে, নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুর পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সানজিদা আক্তার নামে এক স্বেচ্ছাসেবী নারী। সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় রোববার এই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবী সানজিদা আক্তার জানান, রোববার সকালে সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় একটি বেওয়ারিশ কুকুরকে পিটিয়ে মারার খবর পান তিনি। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, স্থানীয় কল্যাণ সমিতির সভাপতির অভিযোগে সিটি করপোরেশনের লোক কুকুরটিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
সানজিদা আক্তার বলেন, এটি আইনত অপরাধ। এ কারণেই থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এবিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ডিউটি অফিসার বাহাজ্জেল হোসেন বলেন, বেওয়ারিশ কুকুর হত্যার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এক নারী। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরআগে, বিদায়ী বছরের ১২ ডিসেম্বর কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রির ঘটনায় নগরীর খালিশপুর পলিটেকনিক কলেজের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে ৪জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে আবু সাইদ (৩৭) বঙ্গবাসী মোড় এলাকার বাসিন্দা। বাকি তিনজন কিশোর।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত ভবনে কুকুর ধরে নিয়ে যেত। এ নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা বিষয়টি খালিশপুর থানার পুলিশ জানায়। পরে পুলিশ এসে একটি জবাই দেওয়া কুকুরসহ তিনজনকে আটক করে। সেখানে বেশ কিছু কুকুরের হাড়গোড়ও উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কুকুরের মাংস এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করেছে তারা। কুকুরের মাংসের তৈরি বিরিয়ানি গরু-খাসি বলে অল্প মূল্যে বিক্রি করা হতো। খালিশপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আটক হওয়া ব্যক্তিরা এক মাসের বেশি সময় ধরে কুকুরের মাংস বিক্রি করত। তাদের দাবি, এই মাংসের বিরিয়ানি রান্না করে একটি চক্র নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করত। তাদের বিরুদ্ধে প্রাণী কল্যাণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তি অকারণে শুধু সহিংসতা প্রদর্শনে কোনো প্রাণীকে হত্যা করে, তাহলে তিনি অর্থদ-, কারাদ- বা উভয়দ-ে দ-িত হতে পারেন।