স্থানীয় সংবাদ

খুলনার ৬টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের নৌকার মাঝিরা নো টেনশনে

৪,৫,ও ৬ আসনে নৌকার গলার কাটা স্বতন্ত্র

স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় শহর খুলনা এই মুহূর্তে নির্বাচনী জয়ের হিসাব নকশা নিয়ে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাত পোহালেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন। জেলার ছয়টি আসনেই প্রার্থীরা রাতদিন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়া শেষে এখন হিসাব নিয়ে বসেছেন। এর মধ্যে ১-৩ আসনের নৌকার প্রার্থীরা ফুরফুরে মেজাজে আছেন। অপর দিকে ৪-৬নং আসনের নৌকার প্রার্থীরা চরম টেনশন ফিল করছেন জয়-পরাজয় নিয়ে। খুলনা অঞ্চলে মুসলিম লীগের রাজনীতির প্রভাব অনেক আগে থেকেই। বিএনপি জামায়াতের রাজনীতিরও এখানে প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এ দু’টি দল নির্বাচনে নেই। ফলে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত দু’টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী স্বতন্ত্ররা। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে মোকাবিলা করতে হবে। তবে নিজেদের ব্যবধান কমিয়ে নৌকাকে জেতাতে একাট্টা হয়ে শেষ মুহূর্তে কাজ করছেন দলের নেতাকর্মীরা। খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে অন্তত দু’টিতে হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। খুলনা-৪ আসনে এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এবং খুলনা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন আদালতের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় এ দু’টি আসনে নৌকার শিবিরে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ), খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী কোনো প্রার্থী নেই। ফলে এখানে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভের ব্যাপারে অনেকটাই নির্ভার। তবে ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে নৌকার প্রার্থীরা যথাক্রমে খুলনা-১ আসনে ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ আসনের সেখ সালাউদ্দিন ও খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে এখন তাদের ভোট কেন্দ্রে নেয়ার কলাকৌশল রপ্ত করছেন।
খুলনা-৪ আসন: খুলনা-৪ (রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া) আসনে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৫৫ হাজার ১৫৩ জন। রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩৩টি। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সালাম মুর্শেদী। তিনি সাবেক কৃতী ফুটবলার এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে এই আসন থেকে বিজয়ী হন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা। নির্বাচনী এলাকাসহ খুলনার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল সুজার। ২০১৮ সালে তিনি মারা গেলে আসনটিতে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘নবাগত’ আবদুস সালাম মূর্শেদী। চলতি বছরও নৌকার টিকিট পেয়েছেন তিনি। প্রয়াত সুজার ভাই ও খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ‘কেটলি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে ভোটের লড়াইয়ে তাঁর ফিরে আসায় চিন্তা বেড়ে গেছে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মূর্শেদীর। দিঘলিয়ার বাসিন্দা আশরাফ হোসেনসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সুজার কিছু অনুসারী সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে যোগ দেন। তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকায় দলের মধ্যে কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়। তাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে আওয়ামী লীগের অন্য অংশের নেতাকর্মীদের। এখন তারা বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, গত পাঁচ বছরে নানা কারণে সালাম মূর্শেদীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীর। এতদিন তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সন্ধানে ছিলেন। দারা নিশ্চিতভাবে এসব নেতার সমর্থন পাবেন। তিনি তার প্রয়াত ভাই সুজার অনুসারীদের সমর্থন পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া আসনটিতে বিএনপি সমর্থিতদের বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে। এসব ভোটার হয়তো ভোট দিতে আসবেন না। এলেও এই ভোট নৌকার বিপক্ষে যাবে। এ আসনে নৌকার সাথে কেটলি প্রতীকের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক নেতা জানান, ভোটের মাঠে দারা দারুণ কৌশলী। ২০২২ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে শেখ হারুন ৫০৬ ও দারা পান ৪০৩ ভোট। নির্বাচনে শেখ হারুনের পক্ষে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতারা মাঠে সক্রিয় ছিলেন; বিপরীতে দারার জন্য তেমন কাউকে দেখা যায়নি। সংসদ নির্বাচনে এবার দারা বড় চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা। মোর্ত্তজা রশিদী দারা বলেন, ‘আমি সব সময় খুলনার সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। তারা যখন খুশি ডাকলেই আমাকে কাছে পায়। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’
খুলনা-৫ আসন: খুলনা-৫ আসন (ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা) এই আসনে এবার ভোটার তিন লাখ ৮৩ হাজার ২১৯ জন। ভোটকেন্দ্র ১৩৫টি। এ আসনে চারবার সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন। তার প্রতীক ‘ঈগল’। ভোটের লড়াইয়ে তার ফিরে আসায় নিরুত্তাপ খুলনা- ৫ আসনে হঠাৎ করেই নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের। এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন সাবেক মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তবে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ আকরাম হোসেন নির্বাচনী লড়াইয়ে ফিরে এলেও জয়ের ব্যাপারে কোনো চ্যালেঞ্জ, প্রতিবন্ধকতা কিংবা কোনো বাধা মনে করছেন না আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। রাজনৈতিক দিক দিয়ে আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত। দীর্ঘদিন এই আসনটিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট আইনজীবী সালাউদ্দিন ইউসুফ। তার মৃত্যুর পর এলাকার জনপ্রিয় কোনো নেতা না হলেও কপাল খুলে যায় ডুমুরিয়া উপজেলার চন্দ্র পরিবারের সন্তান, স্কুল শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র চন্দের। ২০০০ সালের ৬ অক্টোবর সালাউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর উপ-নির্বাচনে সর্বপ্রথম তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আসনটি থেকে তিনি পরপর চারবার আওয়ামী লীগের টিকিট আদায়ে সক্ষম হয়েছেন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট প্রার্থী অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ারের কাছে হেরে যান। এরপর ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিজয়ী হন। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ খুব বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হননি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সংখ্যালঘু অধুষ্যিত ডুমুরিয়া উপজেলায় তার রাজনৈতিক অবস্থান আগের মতো শক্ত নেই। নানাবিধ কারণে তিনি এলাকায় বিতর্কিত হয়েছেন। দলীয় অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে, গোপনে তার বিরোধিতা করছেন। আসনটিতে বিএনপি-জামায়াতের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভোটার রয়েছে। ৭ জানুয়ারির অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আসনটিতে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। এক্ষেত্রে দলীয় ভোট ভাগাভাগি হবে। বিএনপি-জামায়াতের বিপুলসংখ্যক ভোট নারায়ণ চন্দ্র চন্দের পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া শেখ আকরাম হোসেনের পাল্লা ভারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তাছাড়া তিনি প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় ডুমুরিয়া এবং ফুলতলায় তার সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করছেন। আসনটি থেকে শেখ আকরাম হোসেন দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় গণসংযোগ করে আসছিলেন। দলীয় মনোনয়নের আশায় তিনি অনেক চেষ্টা, তদবির এবং জোর লবিং ও করেছেন। সর্বশেষ দল থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় তিনি গত ২৯ নভেম্বর স্বেচ্ছায় উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আকরাম হোসেন এক সময় ফুলতলা উপজেলার দাপুটে জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। খুলনায় জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালেও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। এরপর আওয়ামী লীগে যোগদান করে তার দক্ষতা এবং যোগ্যতায় বাগিয়ে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ।
খুলনা-৬ আসন: খুলনার সবচেয়ে বড় সংসদীয় আসন এটি। কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে এবার ভোটার সংখ্যা চার লাখ পাঁচ হাজার ৩১৬ জন। এ আসনে ১৪২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান ‘নৌকা’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম ‘ঈগল’ প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। নৌকার প্রার্থী মো. রশীদুজ্জামান একজন তুখোড় নাগরিক নেতা ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পাশাপাশি নিজ এলাকায় কৃষকদের জমি লবণ পানিমুক্ত রাখার জন্য ঘের মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৯৮৩ সালে সামরিক জান্তার হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেন। তিনি অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্র আদালতে দেখিয়ে জামিন নিয়েছিলেন। তবে এম.এ. পরীক্ষার পূর্বে আবারো তাকে গ্রেফতার করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। মো. রশীদুজ্জামান পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালে উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। পরে খুলনা জেলা কমিটির সদস্য হন। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা-৬ বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে অনেকেরই একটা ধারণা রয়েছে। এরপরও কোনো দল থেকে এখানে পরপর দু-বার জয়ী হতে পারেনি। দেখা গেছে স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মো. রশীদুজ্জামানের এলাকায় সজ্জন ও শিক্ষিত মানুষ হিসেবে সুনাম আছে। তিনি কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেতা। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় নেতাকর্মীরা তাকে জেতাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। বিজয়ী হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন। অপরদিকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জিএম মাহবুবুল আলম। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। তার ধারণা ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেলে তিনি নির্বাচিত হবেন। আওয়ামী লীগ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু বলেন, সাংগঠনিকভাবে দল খুবই শক্তিশালী। সেক্ষেত্রে ভোটাররা নৌকা মার্কার বাইরে কাউকে ভোট দিবে না। সেক্ষেত্রে মো. রশীদুজ্জামান বিজয়ী হবেন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button