শ্যামনগরে নির্বাচন পরবর্তী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১১

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে নির্বাচন পরবর্তী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার ডুমুরিয়া এলাকায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মাস্টার আব্দুর রহিম গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের চাঁদনীমুখা গ্রামের নুর হোসেন (৪৫), আলমগীর হোসেন (৩৮), পারভিন খাতুন (৪০), শামসুদ্দিন গাজী (৭০), আলতাফ হোসেন (৩৫), ফজিলা খাতুন (৪০), শরিফা খাতুন (৩০), ওয়াজেদ আলী (৫৫), মহিদুল সরদার (৪৮), আবদুল্লাহ সরদার (৩০) ও মোস্তফা সরদার (৪৫)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে তাদের মধ্যে দুজনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গাবুরার স্থানীয় অধিবাসি হুদা মালি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস.এম আতাউল হক দোলন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলে সোমবার সকালে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম মিজানুর রহমান শ্যামনগরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটে যান। এসময় নৌকার পক্ষে কাজ না করায় মিজানুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে রহিম মাস্টারের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে মিজানুর রহমান এর প্রতিবাদ করতে গেলে রহিম মাস্টারের সমর্থকরা তার উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রনি মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এসময় মিজানুর রহমানের সাথে থাকা মোটর সাইকেল ড্রাইভার আমিনুর রহমানকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। ওই ঘটনার জের ধরে মিজানুর রহমান সমর্থকরা এলাকায় ফিরে সোমবার রাতে রহিম মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এসময় পাল্টাপাল্টি হামলায় ১১জন আহত হন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।