খুলনায় টিসিবির পেঁয়াজ এখন কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভ্যানে হাকডাক ছেড়ে

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনায় হতদারিদ্র গরীবের পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে। এমনকি হাক-ডাক ছেড়ে ভ্রাম্যমান হকারেরা ভ্যানে করে বিক্রি করছে এসব টিসিবি’র পেঁয়াজ। এতে করে বঞ্চিত হচ্ছে গরীব অসহায় মানুষেরা। প্রতি ব্যক্তির কাছে ৫০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি পেয়াজ বিক্রি করা যাবে টিসিবির ট্রাক সেল থেকে। এর থেকে বেশি পেঁয়াজ পাবে না কোন ব্যক্তি। তবে এসব পেঁয়াজের ট্রাক সেলের দেখা খুবই কম পাওয়া যায়। এছাড়া গেল দুই তিন দিন যাবৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পেয়াজ এখন চলে যাচ্ছে সরাসরি কালো বাজারে । সরেজমিনে দেখা যায় গতকাল আবুনাসের হাসপাতাল এলাকার আশেপাশে আকবার হোসেন নামের একজন হকার ভ্যানে করে বিক্রি করছে টিসিবির এই পেঁয়াজ। এই পেয়াজ তোমার হাতে কেন? আর কোথায় পেয়ে এমন প্রশ্নে বলেন, তাকে আমি টিসিবির খালিশপুর মুজগুন্নি এলাকার হতে ট্রাক থেকে এই পেঁয়াজ ক্রয় করেছি। প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। আমি তার কাছ থেকে পাঁচ মণ একটু বেশি দাম দিয়ে নিয়েছি। আমি দুই কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এছাড়া এই পেয়াজ এখন দৌলতপুর সহ সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে । এছাড়া অভিযোগ রয়েছে টিসিবির ট্রাক সেল হতে একজন ব্যক্তিকে দুই কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করে না ডিলার। পাশাপাশি জনসাধারণ পেঁয়াজ নিতে গেলে বলে পরে আসেন পলিব্যাগ নেই। এছাড়া হিসাব করা ক্যাশিয়ার একটু বাহিরে আছে আপনি একটু ঘুরে আসেন। বিভিন্ন টালবাহানা করে ডিলারসহ দায়িত্বরত কর্মচারীরা। এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিতি মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের যখন দাম বেশি থাকে তখন এসব টিসিবির পেঁয়াজ চোখে দেখা যায় না। আর যখন কম থাকে তখন দেখা যায়। শুনেছি প্রতিদিন খুলনা টিসিবি’র অফিস হতে দশটি ট্রাকে দুই টন করে মোট বিশ টন পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। তবে এসব পেঁয়াজ আর পেঁয়াজের ট্রাক চোখে পড়ে না। এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষ দেখা হলেও তারা বিভিন্ন নিয়ম আর অসৎ আচারণ করে। বিষয়টি দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর তদন্ত করে এসব অসাধু ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এ বিষয়ে খুলনা টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, প্রতিদিন দশজন ডিলার দুই টন করে পেঁয়াজ বিক্রি করবে খোলা বাজারে ট্রাকসেলের মাধ্যমে। আমরা ডিলারদের কাছে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর খোলা বাজারে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাবে। তবে কিভাবে এমনটি হয়েছে আমি বিষয়টি জানিনা । আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এমন অভিযোগ কোন ডিলারদের বিরুদ্ধে পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।