বাজারে চালের দাম কেজিতে বাড়ল চার টাকা : অস্বস্তিতে ক্রেতারা

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ এক সপ্তাহের ব্যাবধানে চালে দাম কেজিতে বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা । এছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ থাকলেও খুচরা পর্যায়ে কেজি প্রতি বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। এ দিকে হু হু করে চালে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে অস্বস্তিতে পড়েছে ক্রেতারা। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ৬৫ টাকার মিনিকেট চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। কয়েকদিন আগেও ৫০ টাকা করে বিক্রি হওয়া কাজললতা চাল এখন ৫৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মোটাচাল আঠাশ কেজিতে ৪ টাকা বেড়েছে বিক্রি হচ্ছে ৪৩ টাকা কেজি। এ বিষয়ে দৌলতপুর চাল বিক্রেতা মেসার্স ইদ্রিস এন্টারপ্রাইজের পরিচালক রিপন মোল্লা বলেন, বেশি দামে মোকাম থেকে চাল কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। স্বর্ণা ৪৪ টাকা বিক্রি হতো এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৭ টাকায়। সেই সাথে বহন খরচ যোগ করে কেজি প্রতি চালের দাম ৪ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। এবিষয়ে কথা হয় খুলনা মাহাবুব ব্রাদারস প্রাঃ লিঃ এর ম্যানেজার নিখিল সাহার সাথে তিনি বলেন, কেজিতে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত। মূলতঃ অধিকাংশ মিলারদের কাছে ধান মজুদ নেই। পাশাপাশি ধাানের দাম বেড়েছে। আগে যে ধান ১৩শ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে। এখন সেই ধান প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৫শ ৪০ টাকা প্রতি মণ।এছাড়া আমাদের এখন এলসি চাল আমদানি বন্ধ আছে। এর একটি প্রভাব পড়তে পারে। মিলারদের কাছে যদি ধান না থাকে তাহেলে তো চালের দাম বাড়তি হবেই। এ বিষয়ে ক্রেতা মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বাজারে যেয়ে দেখছি কেজিতে চালের দাম তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়িরা বলছে বস্তা প্রতি সব ধরণের চালের দাম বাড়তি। আমাদের কিছু করার নেই। তবে আগের মত মিল মালিকরা সিন্ডিকেট তৈরি করছে। দেশে এবছর পর্যাপ্ত আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। তারপরও কেন এমন দাম বাড়ছে বিষয়টি কঠোর ভাবে দেখা উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের। এ বিষয়ে খুলনা কৃষি অধিদপ্তরে উপ পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খুলনায় চলতি বছরে বোনা আমন ধানের মোট হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.২০ মেট্রিক টন। মোট উৎপাদন হয়েছে ৭৪৪০ মেঃ টন । এ বিষয়ে খুলনা জাতীয় ভোক্তা অধিকারের উপঃ পরিচালক মোঃ সেলিম বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি, সব কিছু নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।