স্থানীয় সংবাদ

খুলনায় নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ খুলনায় নিবন্ধনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত অভিযানে নামছে খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে অবহেলায় শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন নির্দেশেনা দেয়া হয়েছে অবৈধ ডায়াগনস্টিক ও মালিকানাধীন হাসপাতাল গুলো বন্ধ করতে। যে কারণে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ নামছে অভিযানে। তবে জানাযায় খুলনার নামিদামি তিনটি হাসপাতাল ও আছে। এসব হাসপাতালগুলো এতদিন ও নিবন্ধন করেনি অথচ রোগীদের আন্তঃ ও বহির্বিভাগে সেবা কার্যক্রমসহ সবধরনের স্বাস্থ্য সেবা এখনও চলমান রেখেছে। তবে হাসপাতাল তিনটি নাম এর বিষয়ে কোন বিস্তারিত জানা যায়নি অভিযানের সুবিধার্থে তথ্য গোপন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এসব মালিকানাধীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গুলো লাইসেন্স না থাকায় সরকার হারাচ্ছে বিশাল অংকের রাজস্ব। মুলতঃ বর্তমান সময়ে খুলনা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অলিতে গলিতে অসংখ্য ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক ছড়িয়ে পড়েছে । সেবার নামে বাণিজ্য আর দালারদের মাধ্যমে প্রতারণা এবং অসহায় দারিদ্র রোগীদের নিঃস্ব করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। মূলতঃ গরীব অসহায় রোগীদের কাছে অর্থনৈতিক সামর্থ থাকুক বা নাই থাকুক চিকিৎসার সেবার জন্য প্রথম স্তর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের সরাপন্ন হয়ে থাকে। এই সুযোগে কতিপয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে রোগীদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন বেসরকারি হাসপাতালে। তারা মেতে উঠেছেন কমিশন ফি বাণিজ্যে। খুলনা মহানগরীর মধ্যে বেসরকারি কিছু ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় জেল জরিমানা করলে ও কয়েক দিন পর তারা আবার ও মেতে উঠে গরীব অসহায় রোগীদের ঠকানো বাণিজ্যে। এ বিষয়ে খুলনা সচেতন নাগরীক ও রাজনৈতিক নেতা মো: খালিদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে আমরা সাধারণ মানুষেরা অবশ্যই আনন্দিত হব। নগর ও জেলায় পর্যায়ে এসব মালিকানাধীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো রোগীদের ভুল রিপোর্ট দিয়ে অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজি টেকনেশিয়ান নেই অধিকাংশ এসব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে। মূলতঃ রাজনৈতিক আর স্বাস্থ্য বিভাগের কতিপয় অসাধুকর্মচারীদের ছত্রছায়ায় এরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পাশাপাশি এসব মালিকানাধীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন না থাকায় সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। দ্রুত এসব অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মনজুরুল মুরশীদ বলেন, খুলনায় কতগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্স নেই আগামী দু তিনদের মধ্যে চুড়ান্ত তালিকা পাওয়া যাবে। এরপর আমরা অভিযান পরিচালনা করব। ইতোমধ্যে আমরা মোখিক অনুমোতি পেয়েছি। লাইসেন্স ও নবায়ন না থাকা সহ এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সন্তুষ্ট না হলে আমরা এসব ব্যক্তি মালিকানাধীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিব।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button