কুয়েটে সংঘর্ষে ২১ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার : মামলা

১২ শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত ৫০ জনের নামে মামলা
ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি ঃ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় লালনশাহ হলের ২১ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও ১২ শিক্ষার্থীর সহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের নামে মামলা। সোমবার লালনশাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া স্বাক্ষরিত আদেশে তাদের বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন সাফায়েত সাইমুম, নিলান খালেক পারাবার, আব্দুল্লাহ্ ইবনে জয়নাল, শাহরিয়ার ফেরদৌস ওশান, শাহনেওয়াজ পারভেজ শুভ, তৈয়ব ইয়াসির নিলয়, জুনায়েত হক সরকার, জুবাইদুর হোসেন নাঈম, মো. সাব্বির হোসেন, মো. আদনান ইসলাম (শামস), তাহমিদুল হক ইশরাক, মিনহাজুর রহমান আবরার, ফজলে রাব্বি, সাদিক বিন ফারুক, আবির হাসান, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, অমিত কুমার ঘোস, অরিত্র দেবনাথ পৃথু, মেফতাউল মাহমুদ, সুদীপ্ত তালুকদার ও মিজানুর রহমান (মুহাসিন)। একই সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে রয়েছেন, বিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. নূরুন্নবী মোল্লা, আইইএম বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রফিকুজ্জামান, এমই বিভাগের প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম, বিইসিএম বিভাগের সগযোগী অধ্যাপক মো. ইকরামুল হক, এলই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রঞ্জন কুমার রাহা। কমিটিকে যথাসময়ের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত করতঃ দোষীদের চিহ্নিত করে সুপারিশ সহ তদন্তে একটি প্রতিবেদন ভাইস চেন্সেলর এর নিকট দাখিল করতে হবে। এছাড়া ভাংচুরের ঘটনায় মো. তাহমিদুল হক ইশরাক বাদী হয়ে ১২ শিক্ষার্থীর সহ অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন, যার নং- ৫, তাং- ১৬/১/২৪। শিক্ষার্থীরা ১২ জন হলেন, কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ শুভ, শুভানুদেব অংকন বড়াল, দীপ্রদাস কুন্ডু, এন নাজমুস সাকিব, তানবীন হাসান, অভিজিত ভট্টাচার্য, ফুয়াদ, জয়বোস, সিমান্ত অদিত্য, এহসান মল্লিক আকাশ, রাকিব বিন মাহাবুব তালুকদার, সুমিত দাস। জানা যায়, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগ সভাপতি রুদ্র নীল সিংহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। ১৪ জানুয়ারী রবিবার রাতে হলের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৪জন শিক্ষার্থী আহত হয়। লালনশাহ হলের প্রভোস্ট মো. আব্দুল হাফিজ মিয়া বলেন, কিছু ছাত্র হলের বাইরে ছিল তারা রবিবার রাতে হলে উঠতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।