স্থানীয় সংবাদ

বাগেরহাট ষাটগম্ভুজ এলাকায় তরুণীকে গনধর্ষণ : উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি

আজাদুল হক, বাগেরহাট থেকে ঃ বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ এলাকায় ৩৫ বছর বয়সী একজন ছিন্নমূল তরুনীকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে মাছের ঘেরের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে তিন লম্পট। এ ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ষাটগম্ভুজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিউল ইসলাম (৩৬) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে ধর্ষনের স্বীকার তরুনীকে উদ্ধার করে বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে মডেল থানা পুলিশ। আটক রবিউল ইসলাম বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোণা গ্রামের শেখ আকবর আলীর ছেলে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বলেন, বাবা মারা গেছে, মায়ের সাথেও দীর্ঘদিন যোগাযোগ নেই। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম, এখন চাকুরী নেই। আশ্রয়ের আশায় দেড় মাস আগে বাগেরহাট খান জাহান (রহ) এর মাজারে এসেছিলাম। কখনও মাজারের পাশে, কখনও মাজার মসজিদের বারান্দায় থেকেছি। রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাজার এলাকায় ছিলাম, কিন্তু কিছু লোক আমাকে তাড়িয়ে দেয়। আশ্রয়ের আশায় ষাটগম্ভুজ মসজিদের সামনে যাই। সেখানে কিছু লোক আমাকে জলিল নামের একজন মানুষের বাসায় পাঠায়। সেখানে আকবর নামের একব্যক্তি কু প্রস্তাব দিলে বিরক্ত হয়ে রাস্তায় চলে আসি। তখন রব নামের একজন অটো চালক আমাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে অটোতে উঠিয়ে নির্জন একটি ঘেরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ৩জন মিলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে নানা আকুতি মিনতির পরে তারা আমাকে খুলনা বাগেরহাট মহাসড়কের একটি নির্জন স্থানে ছেড়ে দিয়ে যায়। পরবর্তীতে কাকে কিভাবে বলব জানাব বুঝতে পারিনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ আমাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাদিয়া তাসনিম মুনমুন বলেন, পুলিশ ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ওই তরুনির অভিযোগ তাকে ৩জন মিলে ধর্ষণ করেছেন। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছি। ওই তরুণীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, নির্যাতনের শিকার তরুনীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিউল ইসলাম(৩৫) এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্ত্তি আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধিন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button