যশোরে যুবক খুনের ঘটনায় ৫জনের নামে মামলা : গ্রেফতার নেই

যশোর ব্যুরো : চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের উপুর্যপরি ছুরিকাঘাতে সোলাইমান হোসেন (২৬) খুনের ঘটনায় ৫সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার ২৮ জানুয়ারী মামলাটি করেন,নিহত সোলাইমানের স্ত্রী মোছাঃ আসমা খাতুন। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার খামারপাড়া গ্রামে বর্তমানে যশোর শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড় মোস্তাফিজুরের বাড়ির ভাড়াটিয়া। মামলায় আসামীরা হচ্ছে,শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের মনিরুলের ছেলে জনি,সদর উপজেলার চাঁচড়া চেকপোষ্ট এলাকার নিয়ামত ড্রাইভারের ছেলে আরাফাত,শহরের মেডিকেল কলেজের সামনে হজুরের ছেলে মেহেদী,বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের জয়নালের ছেলে সুজন ও সহোদর সুজনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩জন। পুলিশ হত্যাকান্ডের জড়িত কাউকে হত্যাকান্ডের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার স্বামী সোলাইমান হোসেন শহরের রেল রোডস্থ সোনালী ব্যাংক কর্পোরেট শাখার সামনে ফেডেক্স আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিস নামক প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। গত ২৬ জানুয়ারী শনিবার বিকালে সোলাইমান চা পান করার জন্য টিবি ক্লিনিক মোড়ে যায়। সেখানে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে অবস্থানকালে পিযূষের চায়ের দোকানের সামনে উল্লেখিথ আসামীরা বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক মোড়ের নজরুলের ছেলে জসিম (৩০) কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে জনি ও মেহেদী কুপিয়ে জখম করা দেখে সোলাইমান এগিয়ে তাদেরকে নিষেধ করে। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো চাকু দিয়ে সোলাইমানকে ধাওয়া করে। এক পর্যায় সে ষষ্টিতলা মোড়ে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে উল্লেখিত আসামীরা পিছু ধাওয়া করে সোলাইমানের বুকের বাম পাশে,ডান পায়ের উরুর নিচে,বাম পায়ের উরুতে পাশাপাশি দু’টি আঘাত করে গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। বাদি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে প্রাণে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে। লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরে বাদি আসামীদের নাম সংগ্রহ করে থানায় মামলা দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল মালেক গ্রেফতারের ব্যাপারে জানিয়েছেন,এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।